০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ কুমিল্লায় কবিরাজের কাছে ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মুরাদনগরে বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ শিশু বিদ্যালয়ের এক বছর পূর্তি উদযাপন চৌদ্দগ্রামে উজিরপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড মহিলা দলের মতবিনিময় সভা সরকারের জনবান্ধব উদ্যোগ মানুষকে জানাতে হবে -জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়ছার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায়, কিশোর গ্যাং এর ২৪ সদস্য গ্রেফতার ঢাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কুমিল্লার শিক্ষার্থী জুবায়েদ নিহত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের রোবটিক্স ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অভিনব কায়দায় মিশুকের সিটের নিচে মাদক পাচার, র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ১ কুমিল্লায় বিজিবির অভিযানে এক কোটি টাকার বেশি ভারতীয় পণ্য জব্দ

কুমিল্লায় কবিরাজের কাছে ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

  • তারিখ : ১১:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • 96

সোহরাব হোসেন।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ভণ্ড কবিরাজের কাছে ছোট বোনের ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (১৯)।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে সোমবার বিকালে (২০ অক্টোবর) দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভণ্ড ওই কবিরাজের নাম কুদ্দুস মিয়া, সে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের জিলানীর ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন সকালে ছোট বোনের জিন ছাড়াতে কুদ্দুস কবিরাজের বাড়িতে নিয়ে যান ওই গৃহবধূ। চিকিৎসার একপর্যায়ে কুদ্দুস মিয়া নানান কৌশলে গৃহবধুকে নিজের বসতঘরের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে।

পরবর্তীতে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় কুদ্দুস মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে একাধিকবার গৃহবধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা দাবির পর গৃহবধূ তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেয়।

গৃহবধূ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আমার ছোট বোনকে জিন ছাড়াতে নিয়ে যাই কবিরাজ কুদ্দুসের কাছে। চিকিৎসা শুরুর আগে সে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়। পরে আমাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারন করে। সেই ভিডিও দেখিয়ে টাকার দাবিও করে। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা এনে দিলেও সে আমাকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

পরে তার ভাইকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আরও তিন লাখ টাকা নেয়। টাকা ফেরত চাইলে ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে আরোও টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার স্বামীর বাড়ির লোকদের কাছে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।”

গৃহবধূর মা বলেন,“ভণ্ড কবিরাজের ফাঁদে পড়ে আমার মেয়ের পরিবার ভেঙে গেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কবিরাজ কুদ্দুস মিয়া বলেন, তাদের এক মেয়ে অসুস্থ ছিলো, আমার কাছে চিকিৎসা করিয়েছে। কিন্তু দুই মাস আগে তারা এমন একটি অভিযোগ নিয়ে আমাদের গ্রামে আসে, তখন আমি কক্সবাজারে ছিলাম। আমাদের এলাকার মেম্বার অভিযোগের ব্যাপারে বসকে তাদের জানালে তারা আর আসে নাই। আমার বিরুদ্ধে আনীত ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন বলেন, ভিক্টিমের মায়ের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় কবিরাজের কাছে ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

তারিখ : ১১:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সোহরাব হোসেন।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ভণ্ড কবিরাজের কাছে ছোট বোনের ‘জিন ছাড়াতে’ গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (১৯)।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে সোমবার বিকালে (২০ অক্টোবর) দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভণ্ড ওই কবিরাজের নাম কুদ্দুস মিয়া, সে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের জিলানীর ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন সকালে ছোট বোনের জিন ছাড়াতে কুদ্দুস কবিরাজের বাড়িতে নিয়ে যান ওই গৃহবধূ। চিকিৎসার একপর্যায়ে কুদ্দুস মিয়া নানান কৌশলে গৃহবধুকে নিজের বসতঘরের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে রাখে।

পরবর্তীতে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে গৃহবধূর কাছ থেকে প্রায় এক লাখ পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় কুদ্দুস মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিয়ে একাধিকবার গৃহবধূর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি মোটা অঙ্কের টাকা দাবির পর গৃহবধূ তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেয়।

গৃহবধূ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি আমার ছোট বোনকে জিন ছাড়াতে নিয়ে যাই কবিরাজ কুদ্দুসের কাছে। চিকিৎসা শুরুর আগে সে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়। পরে আমাকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারন করে। সেই ভিডিও দেখিয়ে টাকার দাবিও করে। আমি বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা এনে দিলেও সে আমাকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

পরে তার ভাইকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে আরও তিন লাখ টাকা নেয়। টাকা ফেরত চাইলে ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে আরোও টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার স্বামীর বাড়ির লোকদের কাছে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়।”

গৃহবধূর মা বলেন,“ভণ্ড কবিরাজের ফাঁদে পড়ে আমার মেয়ের পরিবার ভেঙে গেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কবিরাজ কুদ্দুস মিয়া বলেন, তাদের এক মেয়ে অসুস্থ ছিলো, আমার কাছে চিকিৎসা করিয়েছে। কিন্তু দুই মাস আগে তারা এমন একটি অভিযোগ নিয়ে আমাদের গ্রামে আসে, তখন আমি কক্সবাজারে ছিলাম। আমাদের এলাকার মেম্বার অভিযোগের ব্যাপারে বসকে তাদের জানালে তারা আর আসে নাই। আমার বিরুদ্ধে আনীত ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন বলেন, ভিক্টিমের মায়ের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।