রুবেল মজুমদার ।।
কড়া নাড়ছে শীত। সারা দিন রোদের রাজত্ব শেষে রাতে শুরুতে বদলে যাচ্ছে তাপমাত্রা। ভোরের দিকে চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে কুয়াশা। তবে এখনো কুমিল্লা তেমন জেঁকে বসেনি শীত। কিন্তু শীত মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই শুরু গেছে শহরে প্রস্তুুতি। বাজারে আসতে শুরু করেছে গরম কাপড়। নগরের বিভিন্ন স্থানে জমজমাট হয়ে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার।এছাড়া জেলাজুড়ে কয়েকদিন হঠাৎ শীত প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বাজার।
সোমবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়,বাহার মার্কেট, নিউ মার্কেট,সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, ইস্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজা,এস বি প্লাজা,টাওয়ার শপিং মল,জমজম মার্কেট এর মতো অভিজাত মার্কেটগুলোর শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে পোশাক কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে গরম কাপড় প্রতিবছরে মত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষরা ফুটপাত থেকে গরম কাপড় সংগ্রহ করছেন। নগরীর ফুটপাতে ও রাস্তার পাশে ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক।নিম্ন মধ্যবিত্ত জন্য পাশাপাশি মৌসুমী শীতবস্ত্রে দোকান গুলোতে রাস্তা দুইপাশে কান্দিরপাড়, রাজগঞ্জ, চকবাজার, শাসনগাছা, চৌদ্দগ্রাম, চান্দিনা, মিয়াবাজার, শিশুমঙ্গল, বিশ্বরোড এলাকারসহ ফুটপাতে দোকানগুলোতেও বেশ ভীড় লক্ষ করা যায়।।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন প্রশাসকের তেমন কড়াকড়িতে নগরীর না থাকায় শহরে ব্যস্ততম রাস্তাগুলো ফুটপাতে ও আর ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক।এতে সাধারণ পথচারীদের রাস্তা চলাচলে চরম ভোগান্তি পড়তে হয়ছে।করোনাকালীন মানা হচ্ছে তেমনকটা স্বাস্থ্যবিধি মতো জরুরী বিষয় গুলো।
নগরীর নিউমার্কেটে দেখা যায়, প্রায় সব দোকানেই কম-বেশি উঠেছে শীতের বসন। ক্রেতাদের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে বিক্রেতারা সাজিয়েছেন পসরা। উলের তৈরি সোয়েটার, চাদর, জ্যাকেট, ব্লেজার, মাফলার, টুপি কিংবা হাতমোজা সবই মিলছে এখানে। বিক্রিও চলছে দেদারসে।
নিউ মাকেট শামীম নামের এক ব্যবসায়ীরা জানান, নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে শীতবস্ত্রের কেনাবেচা। দিনদিন বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা। তবে জমজমাট বিক্রির মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে বেশ চিন্তিত তারা। কুমিল্লাসহ দেশব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে গত রমজানের ঈদ বাজারের মতো লোকসান গুণতে হতে পারে বলে জানান তারা।
এদিকে কেনাকাটা জমে উঠলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শীতবস্ত্রের দাম খানিকটা বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা বলছেন, এবারের বাজারে শীতের কাপড়ের দাম বেশ চড়া। ফলে কাপড় পছন্দ হলেও দামের সঙ্গে মেলানো যাচ্ছে না বাজেট। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ভিন্ন কথা।
তারা বলেন,সব কিছুর দাম বৃদ্ধির কারণে কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে আসা রবিউল মোল্লা নামের এক ক্রেতা বলেন, শীত পড়া শুরু হয়েছে ভাই গ্রামে তাই নিজে ও মা জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি। কিন্তু দামটা বেশি ভাই এবার গত বছরের তুলনায় ।কি আর করা দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবে।ব্যবসায়ীরা সংগঠনের সূত্র জানা যায়,গত কয়েক বছর প্রত্যাশিত শীত না পড়ায় তেমন বেচাকেনা হয়নি। অনেকে শীতের কাপড় কিনে মজুদ করলেও তা বিক্রি করতে পারেননি। গত রজমানের ঈদে মার্কেট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের অনেক টাকা লোকসান দিতে হয়েছে।
এদিকে শহরে বাহার মার্কেট রমজানের ঈদ ছাড়া শীতের বাজারটিও জমজমাট থাকে । কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে শীতের কাপড়ের জন্য মার্কেটে ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। বেচাবিক্রিও মোটামুটি ভালো হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে গত রমজানের ঈদের লোকসান কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে আশা করি ব্যবসায়ীরা। তবে সমস্যা হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় তাহলে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে বড় অংকের লোকসান গুণতে হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page