০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেশবরেণ্য বাউল শিল্পী কুমিল্লার ফজলুর রহমান বাবুল আর নেই নানা আয়োজনে কুমিল্লায় কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল ১৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল চৌদ্দগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি আন্ত: ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে চান্দিনা-বাগুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ‘সায়েন্স, স্পিরিচুয়ালিটি অ্যান্ড স্যাংকটিটি’ কনফারেন্স বাঙ্গরায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত অফিসের শুভ উদ্বোধন চান্দিনায় সবুজ গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদককে লাল কার্ড দেখালো শিক্ষার্থীরা সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ; ১৫৩ জনের মধ্যে ১৩৮ জন ফেল; পাসের হার মাত্র ৯.৮০%

কুমিল্লায় লকডাউনে মুচি ও ধোপারা পেলো প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার

  • তারিখ : ০৫:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১
  • 25

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। হাতে কাজ নেই। ঘরে খাবার নেই। বিপাকে ঋষিপট্টিতে বসবাসকরীরা। জুতা সেলাই করতে বাহিরে যেতে হবে। বাহিরে লোকজন নেই। আবার বাহিরে যেতেও মানা। এমন সংকটময় মুহূর্তে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার নিয়ে হাজির হলো। কুমিল্লা মহানগরীর ঋষিপট্টীতে বসবাসকারী ১৭০ জন মুচি ও ধোপা পেলেন প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার।

শুক্রবার সকাল ১০ দিকে কুমিল্লা হাইস্কুল মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন খাদ্য সামগ্রীগুলো সবার হাতে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আশিক উন নবী তালুকদারসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

লকডাউনে খাবার পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত ঋষিপট্টির নয়ন ঋষি। নয়ন ঋষি বলেন, লকডাউন চলতাছে। বাইরে কাইম কাইজ নাই। আমডা দিনে কামাই করি। দিনে খাই। আমার ২ পোলা ১ মাইয়া। কাইম কাইজ নাই। অহন ঘরে বইয়া রইছি। খানার চিন্তায় মাথা ধরেনা। প্রধানমন্ত্রী খানা দিসে। কয়ডা দিন নিশিন্তায় থাকতাম পাইরাম।

উপহারসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, চিনি, সেমাই দুধ, মসলা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রায় সাড়ে ১১ কেজি ছিলো।

খাদ্য সামগ্রী বিতরন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ঋষিপট্টির ১৭০ টি নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার তুলে দিয়েছি। ওই পরিবারগুলোর বেশীর ভাগ জুতো সেলাই ও ধোপার কাজ করেন।

এদিকে লকডাউনের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কুমিল্লা জেলায় ৪০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪০ টি বাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপকালে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন ক্ষুধার কষ্ট না পায় সে ব্যাপারে সদাজাগ্রত রয়েছে কুমিল্লা জেলাপ্রশাসন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় লকডাউনে মুচি ও ধোপারা পেলো প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার

তারিখ : ০৫:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলছে। হাতে কাজ নেই। ঘরে খাবার নেই। বিপাকে ঋষিপট্টিতে বসবাসকরীরা। জুতা সেলাই করতে বাহিরে যেতে হবে। বাহিরে লোকজন নেই। আবার বাহিরে যেতেও মানা। এমন সংকটময় মুহূর্তে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার নিয়ে হাজির হলো। কুমিল্লা মহানগরীর ঋষিপট্টীতে বসবাসকারী ১৭০ জন মুচি ও ধোপা পেলেন প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার।

শুক্রবার সকাল ১০ দিকে কুমিল্লা হাইস্কুল মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন খাদ্য সামগ্রীগুলো সবার হাতে তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আশিক উন নবী তালুকদারসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

লকডাউনে খাবার পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত ঋষিপট্টির নয়ন ঋষি। নয়ন ঋষি বলেন, লকডাউন চলতাছে। বাইরে কাইম কাইজ নাই। আমডা দিনে কামাই করি। দিনে খাই। আমার ২ পোলা ১ মাইয়া। কাইম কাইজ নাই। অহন ঘরে বইয়া রইছি। খানার চিন্তায় মাথা ধরেনা। প্রধানমন্ত্রী খানা দিসে। কয়ডা দিন নিশিন্তায় থাকতাম পাইরাম।

উপহারসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, চিনি, সেমাই দুধ, মসলা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রায় সাড়ে ১১ কেজি ছিলো।

খাদ্য সামগ্রী বিতরন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে ঋষিপট্টির ১৭০ টি নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার তুলে দিয়েছি। ওই পরিবারগুলোর বেশীর ভাগ জুতো সেলাই ও ধোপার কাজ করেন।

এদিকে লকডাউনের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, কুমিল্লা জেলায় ৪০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪০ টি বাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি কঠোর বিধিনিষেধ আরোপকালে নিম্ন আয়ের মানুষ যেন ক্ষুধার কষ্ট না পায় সে ব্যাপারে সদাজাগ্রত রয়েছে কুমিল্লা জেলাপ্রশাসন।