০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন- ড. ইমরান আনসারী কোনো ষড়যন্ত্রই কুমিল্লা-৬ আসনের মানুষের সঙ্গে আমার বন্ধন ভাঙতে পারবে না-হাজী ইয়াছিন কুমিল্লা-৯ আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মোঃ শফিকুর রহমান কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনে বিএনপির প্রার্থী কামরুল হুদার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত স্বপ্নের বুড়িচংয়ের নেতৃত্বে ২৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস কুবি আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এমসিজে ও সিএসই বিভাগ কুমিল্লায় চালু হলো দেশের প্রথম স্বয়ংক্রিয় জ্বালানি বিপণন ডিপো, সরবরাহ ৪ জেলায় মুরাদনগরে পুলিশের অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৪ কুবি ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন ছাড়িয়েছে ৮০ হাজার, সময় শেষ ৩১ ডিসেম্বর

কক্সবাজারে অতিরিক্ত ছবি তুলে পর্যটক হয়রানি, ফটোগ্রাফার আটক

  • তারিখ : ০৬:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২
  • 45

নিউজ ডেস্ক।।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছবি তোলার নামে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে ইউনুস নামে এক ফটোগ্রাফারকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ইউনুসের ফটোগ্রাফি পোশাক নং ৫৯২। রোববার (১৭ জুলাই) সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিফাত মাহমুদ নামে ভুক্তভোগী পর্যটক অভিযোগ করেন, গত ৯ জুলাই তিনি এবং তার স্ত্রী সুগন্ধা বিচে যান। সেখানে এক ফটোগ্রাফার অনেক অনুরোধ করেন ছবি তোলার জন্য। এরপর তারা কয়েকটা ছবি তোলেন। কথা ছিল সব মিলে ৩০-৪০টা ছবি তারা নেবেন। কিন্তু ২৫০টা ছবি তোলেন ফটোগ্রাফার। বিল করেন ৮০০ টাকা। এরপর যখন তিনি ছবিগুলো না নিতে চান, তখন তারা তাকে অনেক রকম হুমকি-ধমকি দেন। তখন বাধ্য হয়ে তিনি টাকা দিয়ে চলে আসেন। তার মতো এমন বিপদে যেন কেউ না পড়েন এজন্য তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, শনিবার আমাদের সরকারি নম্বরের হোয়াটস অ্যাপে একজন ভুক্তভোগী ফটোগ্রাফার কর্তৃক হয়রানির একটি অভিযোগ পাঠান। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম তাকে আটকের জন্য পাঠাই। গতকাল তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও আজ রোববার সকালে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ট্যুরিস্ট হয়রানিকারী ফটোগ্রাফারকে বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হবে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফটোগ্রাফারদের লাইসেন্স দেন জেলা প্রশাসক। আমাদের কাছে কোনো ডাটাবেইজ থাকে না। যার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। আমরা ডাটাবেজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। খুব শিগগিরই ডাটাবেজ করার কাজ শেষ হবে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। তখন এ রকম অভিযোগ থাকবে না। সৈকতের প্রত্যেকটি পয়েন্টে আমাদের হেল্প ডেস্ক রয়েছে। কক্সবাজারে ভ্রমণে আগত ট্যুরিস্টদের অনুরোধ যেকোনো হয়রানি বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিন।

error: Content is protected !!

কক্সবাজারে অতিরিক্ত ছবি তুলে পর্যটক হয়রানি, ফটোগ্রাফার আটক

তারিখ : ০৬:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ জুলাই ২০২২

নিউজ ডেস্ক।।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছবি তোলার নামে পর্যটক হয়রানির অভিযোগে ইউনুস নামে এক ফটোগ্রাফারকে আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ইউনুসের ফটোগ্রাফি পোশাক নং ৫৯২। রোববার (১৭ জুলাই) সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিফাত মাহমুদ নামে ভুক্তভোগী পর্যটক অভিযোগ করেন, গত ৯ জুলাই তিনি এবং তার স্ত্রী সুগন্ধা বিচে যান। সেখানে এক ফটোগ্রাফার অনেক অনুরোধ করেন ছবি তোলার জন্য। এরপর তারা কয়েকটা ছবি তোলেন। কথা ছিল সব মিলে ৩০-৪০টা ছবি তারা নেবেন। কিন্তু ২৫০টা ছবি তোলেন ফটোগ্রাফার। বিল করেন ৮০০ টাকা। এরপর যখন তিনি ছবিগুলো না নিতে চান, তখন তারা তাকে অনেক রকম হুমকি-ধমকি দেন। তখন বাধ্য হয়ে তিনি টাকা দিয়ে চলে আসেন। তার মতো এমন বিপদে যেন কেউ না পড়েন এজন্য তিনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, শনিবার আমাদের সরকারি নম্বরের হোয়াটস অ্যাপে একজন ভুক্তভোগী ফটোগ্রাফার কর্তৃক হয়রানির একটি অভিযোগ পাঠান। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম তাকে আটকের জন্য পাঠাই। গতকাল তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও আজ রোববার সকালে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলেছি। উনি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ট্যুরিস্ট হয়রানিকারী ফটোগ্রাফারকে বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হবে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফটোগ্রাফারদের লাইসেন্স দেন জেলা প্রশাসক। আমাদের কাছে কোনো ডাটাবেইজ থাকে না। যার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। আমরা ডাটাবেজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। খুব শিগগিরই ডাটাবেজ করার কাজ শেষ হবে। আমরা তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। তখন এ রকম অভিযোগ থাকবে না। সৈকতের প্রত্যেকটি পয়েন্টে আমাদের হেল্প ডেস্ক রয়েছে। কক্সবাজারে ভ্রমণে আগত ট্যুরিস্টদের অনুরোধ যেকোনো হয়রানি বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা নিন।