১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার নতুন জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান দেবিদ্বারে লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কুমিল্লায় মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা হাজী ইয়াছিনের পক্ষে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি; ১১তম দিনে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান বুড়িচংয়ে কোরপাই থেকে নাজিরা বাজার পর্যন্ত টহল-চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী

গ্রাম আদালতে সমস্যার সমাধান করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির

  • তারিখ : ১১:০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • 39

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
স্থানীয় বিচারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন করে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশে গ্রাম আদালত গঠনের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার।

স্থায়ী সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন পাস হয়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা করছে ওয়েব ফাউন্ডেশন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত কার্যক্রম চলছে।

সেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ১০ নম্বর গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়নের গ্রামের মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছে এই গ্রাম আদালতেই। ইউপি চেয়ারম্যান এবং দুজন মেম্বারসহ মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে এই গ্রাম আদালত গঠিত হয়। এছাড়াও বাদী-বিবাদীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন করে গ্রাম্য প্রধান এ আদালতের সদস্য হিসেবে থাকেন। গ্রাম আদালত বিভিন্ন দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। গ্রাম আদালতে শুনানি করে বিচার নিষ্পত্তি করায় কমে গেছে অপরাধ। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির।

হুমায়ূন কবির আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের জেষ্ঠ্য সাংগঠনিক সম্পাদক।

তিনি প্রতি মাসে অন্তত ৩০টি ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার সমস্যা সমাধান করে যাচ্ছেন। যা সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সচলভাবে পরিচালিত হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন ১০ নম্বর গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ছোটখাটো বিরোধ নিরসনে জেলা-উপজেলার আদালতে আসার সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। বিচারপদ্ধতি সহজ থাকায়, উকিল মোক্তারের পরিবর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থা রাখছেন ইউনিয়নবাসী। অল্প সময়ে-স্বল্প খরচে স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট বিরোধ নিষ্পত্তি গ্রাম আদালতের মূল লক্ষ্য। তাইতো এ ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে গ্রাম আদালত।

১০ নম্বর গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ছোট ছোট বিরোধ হলে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আমাদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দিচ্ছেন। বিশেষ করে পারিবারিক কলহর, জমি সংক্রান্ত বিরোধ গুলো বেশি হচ্ছে। আমরা আলাপ-আলোচনা করে কাগজ দেখে সুষ্ঠু সমাধান দেই। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষ এই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। যারা ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারছেন না, বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের বাড়ীতে গিয়ে শুনানি করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করা হবে।

error: Content is protected !!

গ্রাম আদালতে সমস্যার সমাধান করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির

তারিখ : ১১:০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
স্থানীয় বিচারব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও তৃণমূল পর্যায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন করে হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশে গ্রাম আদালত গঠনের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার।

স্থায়ী সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন পাস হয়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা করছে ওয়েব ফাউন্ডেশন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসাবে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত কার্যক্রম চলছে।

সেই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার ১০ নম্বর গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়নের গ্রামের মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছে এই গ্রাম আদালতেই। ইউপি চেয়ারম্যান এবং দুজন মেম্বারসহ মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে এই গ্রাম আদালত গঠিত হয়। এছাড়াও বাদী-বিবাদীর প্রতিনিধি হিসেবে একজন করে গ্রাম্য প্রধান এ আদালতের সদস্য হিসেবে থাকেন। গ্রাম আদালত বিভিন্ন দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। গ্রাম আদালতে শুনানি করে বিচার নিষ্পত্তি করায় কমে গেছে অপরাধ। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির।

হুমায়ূন কবির আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের জেষ্ঠ্য সাংগঠনিক সম্পাদক।

তিনি প্রতি মাসে অন্তত ৩০টি ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার সমস্যা সমাধান করে যাচ্ছেন। যা সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম সচলভাবে পরিচালিত হওয়ায় সুফল পাচ্ছেন ১০ নম্বর গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ছোটখাটো বিরোধ নিরসনে জেলা-উপজেলার আদালতে আসার সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। বিচারপদ্ধতি সহজ থাকায়, উকিল মোক্তারের পরিবর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ওপর আস্থা রাখছেন ইউনিয়নবাসী। অল্প সময়ে-স্বল্প খরচে স্থানীয়ভাবে ছোট ছোট বিরোধ নিষ্পত্তি গ্রাম আদালতের মূল লক্ষ্য। তাইতো এ ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে গ্রাম আদালত।

১০ নম্বর গুনাইঘর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ছোট ছোট বিরোধ হলে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আমাদের গ্রাম আদালতে অভিযোগ দিচ্ছেন। বিশেষ করে পারিবারিক কলহর, জমি সংক্রান্ত বিরোধ গুলো বেশি হচ্ছে। আমরা আলাপ-আলোচনা করে কাগজ দেখে সুষ্ঠু সমাধান দেই। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষ এই গ্রাম আদালতের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। যারা ইউনিয়ন পরিষদে আসতে পারছেন না, বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের বাড়ীতে গিয়ে শুনানি করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করা হবে।