নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জাতীয় শোক দিবসের প্যান্ডেল ভাংচুরের অভিযোগে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়ন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিনসহ ১০৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার কুমিল্লা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নম্বর আমলি আদালতে দাউদকান্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ বিল্লাল হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ গোলাম মাহবুব খান কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশকে ৪ অক্টোবরের মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বুধবার সকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোঃ সাদিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোকতার হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা পাটোয়ারী, মারুকা ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জাকির হোসেন প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আল আমীন, হাজী বাবুল, নাঈমুর রাব্বি, মারুফ মিয়া, মাসুম, সোহেল, হান্নান, আনোয়ার, রুবেল, হযরত আলী, ফয়সাল, দুলন, শাহীন, সালাম, কাশের শওদাগর, শামীম প্রধান, রবিন, সাইফুল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮০ জন।
মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ২৭ আগস্ট বিকেলে দাউদকান্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে চক্রাতলা বাজার বালুর মাঠে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে এর আগে ২৬ আগস্ট প্যান্ডেল করা হলে রাতে আসামিরা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোঃ বিল্লাল হোসেন মজুমদার মামলাটি দায়ের করেন।
দাউদকান্দি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, প্রতিপক্ষের লোকেরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে এখন আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করেছে। প্যান্ডেল ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নেই।
কুমিল্লা ডিবির ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোন কাগজপত্র হাতে আসেনি। আদালতের আদেশের কপি পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page