মোঃ জহিরুল হক বাবু।।
এসিড নিক্ষেপের সাজানো মামলা প্রত্যাহার ও কারাগারে থাকা দুই আসামীর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহলপাড়া গ্রামবাসী। শনিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারী কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহল পাড়ায় রাতের আধাঁরে শাহ জাহান (৪৫) কে পিছন থেকে তার বাড়ীর আঙ্গিনায় দূর্বৃত্তরা এসিড ছুড়ে জলসে দিয়েছে তার শরীর। এ ঘটনার মামলা দেয়া হয় পরিহল পাড়ার তৈয়ব আলীর ছেলে জুলহাস, মৃত রজব আলীর ছেলে মইন, আবদুল খালেকের ছেলে হালিম। তাদের মধ্যে হালিম ও জুলহাস এই মামলায় কারাগারে রয়েছে।
মানবন্ধনে আগত এলাকাবাসীর দাবী মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ তিনজনকে জড়িয়ে একটি সাজানো মামলা দেয়া হয়েছে। কারাগারে থাকা হালিম পেশায় কৃষক এবং জুলহাস পেশায় রাজমিস্ত্রি। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। যাদের আসামী করা হয়েছে মুলত ওই ব্যাক্তিরা এলাকার গন্যমান্য লোক। তাঁরা ওই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো না। এই মামলা প্রত্যাহারসহ প্রকৃত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান বক্তারা। মানববন্ধন শেষে মহাসড়কের বিক্ষোভ মিছিল করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত মুক্তির দাবী করেন।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোকাম ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহসিন কামাল, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক পরিবহন নেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মোকাম ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম, হাজী আবদুল ওয়াহেদ সুয়া মিয়া মেম্বার, এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন মোঃ বাচ্চু মিয়া, রুহুল আমিন, মনিরুল হক মুন্সি, নুরুল আমিন, মোঃ জাকির মুন্সি, মোঃ জামান, নুরুল আমিন, মোঃ ফারুক, মোঃ ইউনুস, খলিলুর রহমান, কবির মেম্বার, আলামিন ও আবদুল কাদের।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, পরিহল পাড়ার তৈয়ব আলীর ছেলে জুলহাস, মৃত রজব আলীর ছেলে মইন, আবদুল খালেকের ছেলে হালিম। তারা সবাই নিরীহ মানুষ। হালিম পেশায় কৃষক, জুলহাস রাজমিস্ত্রি ও মইন একটি মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি। ঘটনার রাতে নিজের বাড়ীতে ছিলেন। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিভাবে বুড়িচং থানায় মামলা দেয়া হয়। এ মামলায় জুলহাস ও হালিম গ্রেফতার করা হয়।
মানবন্ধনে আটকদের মামলা প্রত্যাহার ও ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্সি জানান, আমার বয়স হয়েছে। আমি সত্য বলছি, এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁরা নিরপরাধ। যারা বাদী হয়েছেন তাঁরা নিরীহ, ৩য় পক্ষ জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি মনে করি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ কাউকে এসিড নিক্ষেপ করে না। যা নিক্ষেপ করা হয়েছে তা প্রকৃত এসিড কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার করে নির্দোষ ব্যাক্তিদের মুক্তির দাবী করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আজিজুল বারী নয়ন জানান, মামলার আলামত রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে এজহার নামীয় দুজনকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page