নিজস্ব প্রতিবেদক।।
নগরীর শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার দিনভর বসেছিল খুদে বিজ্ঞানীদের যেন এক মিলনমেলা। তারা উপস্থাপন করেছেন ‘চাঁদ সূর্যের পালা ও মানুষের পরিপাকতন্ত্র’ ‘সালোক সংশ্লেষন প্রক্রিয়া মডেল’, ‘গ্রীন হাউজ প্রকল্প’ , ‘বায়ু ও পানি দূষণ মডেল ’ ,‘ পলিথিন পুড়িয়ে পেট্রল ও মিথেন গ্যাস তৈরির পদ্ধতি’, ‘ভূমিকম্প এলার্ম,’ ‘রিমোট কন্টোল হুইল চেয়ার ’ সহ বেশ কয়েকটি আকর্ষনীয় প্রজেক্ট। কেউ আবার উপস্থাপন করেছে নবায়নযোগ্য শক্তির নতুন কোনো ব্যবহার। এভাবে বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেনির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টলে ২১ টি প্রদর্শনী তুলে ধরেন। তাদের সৃজনশীল কর্মকান্ড দেখে মুগ্ধ হন অতিথিরা।
গতকাল সোমবার ( ২৫ সেপ্টেম্বর) নগরীর শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও শিক্ষা উপকরণ মেলা ২০২৩ এর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার,কুমিল্লা। বিকেলে তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং পুরস্কার তুলে দেন। সকালে দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করেন সৈয়দ মোঃ তৈয়র হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সদর দক্ষিণ কুমিল্লা।
শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শফিকুর রহমান খান, প্রধান শিক্ষক, কোমল্লা উচ্চ বিদ্যালয় , বিজয় কুমার দাস, প্রধান শিক্ষক, বামিশা হাজী আকামত আলী উচ্চ বিদ্যালয় , মিজানুর রহমান,প্রধান শিক্ষক, কনেশতলা উচ্চ বিদ্যালয় , আবুল কালাম মজুমদার, প্রধান শিক্ষক, চৌয়ারা গার্লস হাই স্কুল। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য নাজমুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল আজাদ, ছাবিনা ইয়াসমিন। বিজ্ঞান মেলার বিভিন্ন স্টলের সমন্বয় করেন সহকারী শিক্ষক শিরিন ফেরদৌস, তফাজ্জল হোসেন, মমিনুল ইসলাম, সেলিম হোসেন,জসিম উদ্দিন, আছিয়া খাতুন, মরিয়ম বিবি, উম্মে কুলসুম, বন্যা দাশ,রিনা আক্তার, মাসুদুর রহমান ।
মেলা ঘুরে প্রধান অতিথি জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে নানা উদ্ভাবন উপস্থাপন করেছে। এ মেলা দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হবে। শ্রেণী পাঠদান আকর্ষণীয় করার জন্য কারিকুলামের সাথে সংগতিপূর্ণ এ ধরনের আয়োজন সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোঃ তৈয়র হোসেন বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের নিমিত্তে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল উপকরণ এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। শিক্ষকের পাশাপাশি সকল উপকরণ ছাত্র-ছাত্রীরাও দেখেছে। এ ধরণের আয়োজন শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page