আলমগীর হোসেন।।
বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) কুমিল্লা জেলার আয়োজনে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মঙ্গলবার (১৩ জুন-২০২৩ ) নগরীর কান্দিরপাড় একটি রেষ্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাটাব কুমিল্লার সহ-সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ, নাটাব জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজাদা এমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. আতাউর রহমান, কুমিল্লা প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদ মাহমুদ পারভেজ, মানবাধিকার বিষয়ক পরামর্শক আলী আকবর মাসুম, নাটাবের কমিউনিকেশন অফিসার বিচিত্র চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ইয়াসমীন রিমাসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন।
কুমিল্লা বক্ষব্যাধি ক্লিনিক কনসালটেন্ট ডা. মিজানুর রহমান প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন,কুমিল্লায় জিনস্পার্ট মেশিন , এক্স-রে মেশিন , দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ান, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ল্যাব ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রয়েছে। বক্ষব্যাধি ক্লিনিক ও ব্র্যাকের সহযোগীতায় ফ্রি সেবা নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, নাটাব যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে কাজ করছে। আধুনিক উন্নত চিকিৎসার ফলে যক্ষ্মারোগ আজ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তবে নির্মূল হয়নি, তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পাকিস্তানের জাতির জনক মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি স্ত্রী থেকে পৃথক বিচানায় থাকতেন। সে সময় যক্ষ্মার চিকিৎসা উন্নত ছিলো না। এ সময়ে যক্ষ্মার চিকিৎসা উন্নত। বাংলাদেশে সকল সেবা বিনামূলে। তাই যক্ষ্মা নিয়ে কোন ভয় নেই। এটি গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে আমরা যক্ষ্মা ভয় থেকে জয় করতে পেরেছি। তাই যক্ষ্মা নিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
সভায় অতিথিরা আরো বলেন, তামাকে ব্যবহার বা ধূমপান যক্ষ্মার অন্যতম কারণ। একজন ধূমপায়ী অন্যএকজন ধূমপায়ীকে প্রকাশ্যে ধুমপাত করতে নিষেধ করেন। এটা নাটাবের অবদান। ধূমপানে সচেতনতা তৈরি করেছে নাটাব।
অনুষ্ঠানে বক্তারা যক্ষ্মা নিরোধের বিভিন্ন কৌশল ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করেন। যক্ষ্মা নিরোধে সুশীল সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page