০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সামিরা আজিমের গাড়িবহরে হামলা; দুই পক্ষে আহত ৩৫ কুমিল্লার বটবৃক্ষ ইয়াছিনকে সরাবেন না-তারেক রহমানের প্রতি নির্যাতিত পরিবারের আবেদন কুমিল্লায় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের অঙ্গীকার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত দেবিদ্বারে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শহীদের জনসংযোগ বিএনপির মধ্যে বিভাজন স্বার্থান্বেষী মহলের দৌরাত্ম্যের কারণে – রশিদ আহমেদ হোসাইনী কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল; ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাল মৃত্তিকায় শীতের নির্মল ছোঁয়া বিভিন্ন স্থানে বিড়ালের চোখ তুলে নেয়া ও প্রাণি নির্যাতনের প্রতিবাদে কুমিল্লায় মানববন্ধন

কুমিল্লায় বাণিজ্য মেলার সার্কাসে অভিযান; ভালুক ও বানর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

  • তারিখ : ১০:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 157

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় বাণিজ্য মেলায় চলমান সার্কাসের প্রদর্শনী থেকে একটি এশিয়ান কালো ভালুক ও দুটি বানর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা থেকে আসা বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে সার্কাস থেকে এসব বন্য প্রাণী উদ্ধার করে।

কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএনের তালিকায় এশিয়ান কালো ভালুক মহাবিপন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী। আজ বিকেলে আটক করা বন্য প্রাণীগুলো গাজীপুরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা বন্য প্রাণীগুলোকে গাজীপুর সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হবে।

মাজারুল ইসলাম বলেন, ‘জাঙ্গালিয়া ডিওএইচএস মাঠে চলছে “কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা”। সেখানে টিকিটের বিনিময়ে সার্কাসে ভালুক ও বানরের মতো বন্য প্রাণী দিয়ে খেলা দেখানো হচ্ছে—এ ধরনের পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বন সংরক্ষক হোসেন মাহমুদ নিশাত খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং আমাদের ব্যবস্থা নিতে বলেন। যেহেতু কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের কাছে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই, সে জন্য আমরা ঢাকার বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহযোগিতা নিয়ে এসব বন্য প্রাণী ওই সার্কাস থেকে উদ্ধার করি।’

রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল বলেন, ‘সার্কাস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁরা আর বন্য প্রাণী দিয়ে খেলা দেখাবেন না। ধারণা করছি, কালো রঙের এই ভালুকটিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আলীকদম এলাকা থেকে খুব ছোট বয়সে সংগ্রহ করে সার্কাস কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৫ বছর ধরে ভালুকটি বন্দী করে এভাবে সার্কাসের খেলা দেখানো হচ্ছে বলে ধারণা করছি।’

ঢাকা থেকে আসা বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বলেন, দি রাজমুনি সার্কাস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁরা ভবিষ্যতে বন্য প্রাণী ব্যবহার করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। যদি আবারও এমন অভিযোগ আসে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। উদ্ধার করা বন্য প্রাণীগুলোকে গাজীপুর সাফারি পার্কে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় বাণিজ্য মেলার সার্কাসে অভিযান; ভালুক ও বানর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

তারিখ : ১০:১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় বাণিজ্য মেলায় চলমান সার্কাসের প্রদর্শনী থেকে একটি এশিয়ান কালো ভালুক ও দুটি বানর উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা থেকে আসা বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে সার্কাস থেকে এসব বন্য প্রাণী উদ্ধার করে।

কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএনের তালিকায় এশিয়ান কালো ভালুক মহাবিপন্ন প্রজাতির বন্য প্রাণী। আজ বিকেলে আটক করা বন্য প্রাণীগুলো গাজীপুরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা বন্য প্রাণীগুলোকে গাজীপুর সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হবে।

মাজারুল ইসলাম বলেন, ‘জাঙ্গালিয়া ডিওএইচএস মাঠে চলছে “কুটির শিল্প ও বাণিজ্য মেলা”। সেখানে টিকিটের বিনিময়ে সার্কাসে ভালুক ও বানরের মতো বন্য প্রাণী দিয়ে খেলা দেখানো হচ্ছে—এ ধরনের পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বন সংরক্ষক হোসেন মাহমুদ নিশাত খোঁজ নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন এবং আমাদের ব্যবস্থা নিতে বলেন। যেহেতু কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের কাছে বন্য প্রাণী সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই, সে জন্য আমরা ঢাকার বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহযোগিতা নিয়ে এসব বন্য প্রাণী ওই সার্কাস থেকে উদ্ধার করি।’

রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল বলেন, ‘সার্কাস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁরা আর বন্য প্রাণী দিয়ে খেলা দেখাবেন না। ধারণা করছি, কালো রঙের এই ভালুকটিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আলীকদম এলাকা থেকে খুব ছোট বয়সে সংগ্রহ করে সার্কাস কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১৫ বছর ধরে ভালুকটি বন্দী করে এভাবে সার্কাসের খেলা দেখানো হচ্ছে বলে ধারণা করছি।’

ঢাকা থেকে আসা বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বলেন, দি রাজমুনি সার্কাস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁরা ভবিষ্যতে বন্য প্রাণী ব্যবহার করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। যদি আবারও এমন অভিযোগ আসে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। উদ্ধার করা বন্য প্রাণীগুলোকে গাজীপুর সাফারি পার্কে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।