০৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জায়গা দখল ও হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ব্রাহ্মণপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ ৫০ বছরের শিক্ষাজীবনের ইতি: কুমিল্লায় মাদরাসা শিক্ষকের অশ্রুসিক্ত বিদায় কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ যুবদল কর্মী গ্রেফতার কুমিল্লায় বিসিকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, ৭ জন গ্রেফতার বুড়িচংয়ের মোকাম ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন লাকসামে মরহুম মৌলভী মোহাম্মদ আলী মাষ্টারের স্মরণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অবশেষে বন্ধ হলো পদুয়ার বাজার ইউটার্ন; হানিফ পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দাউদকান্দিতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য; দশ মামলার আসামী সোহাগ গ্রেপ্তার কুমিল্লায় ‘আল-বারাকা’ বাসের চাপায় ‘পাপিয়া’ বাসের হেলপার নিহত

কুমিল্লায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে গেল সেতুর একাংশ

  • তারিখ : ০৬:১৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
  • 4

দাউদকান্দি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি পাকা সেতুর একাংশ ভেঙে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার ছান্দ্রা গ্রামের কাছে কালাডুমুর নদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার পর ওই বাল্কহেডের চালক ও তাঁর সহকারীরা সাঁতরে তীরে উঠে গেছেন।

ওই গ্রামের চার বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত পৌনে তিনটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখেন, কালাডুমুর নদের ওপর সেতুর মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাল্কহেডের চালক ও চালকের তিন সহকারীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে আজ শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত সেতুর ভাঙা অংশ বাল্কহেডের ওপর ও একাংশ নদীতে ডুবে আছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাল্কহেড ও সেতুটি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় লোকজন বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে কালাডুমুর নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গতকাল রাতে মেসার্স রায়হান ইসরাত পরিবহনের একটি বাল্কহেডটি ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় বালু ফেলে ফিরছিল। খালি বাল্কহেডটি কালাডুমুর-গোমতী-মেঘনা নদী হয়ে গজারিয়ায় যাওয়ার পথে ছান্দ্রা গ্রামের কাছে পৌঁছালে বাল্কহেডটি সেতুর একটি পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর মাঝখানের একটি অংশ নদে পড়ে যায়।

ছান্দ্রা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আবদুল লতিফ বলেন, ওই সেতু দিয়ে উপজেলার গলিয়ারচর, চররায়পুর, চারপাড়া, দাসপাড়া, ভিটিচারপাড়া ও ছান্দ্রা গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করত। তবে সেতু ভেঙে যাওয়ায় এখন প্রায় ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরে গৌরীপুর বাজার–গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে যাতায়াত করতে হবে। নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এ দুর্ভোগ পোহাবেন।

জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, আপাতত বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। পরে লোকজনের চলাচলের জন্য বিকল্প সেতু নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ফায়ার সার্ভিস দাউদকান্দি ইউনিটের স্টেশনমাস্টার মো. রাসেল বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে তাঁরা সেতু এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বাল্কহেডটি সেতু ভেঙে আটকে থাকায় এবং লোকজন হতাহত না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়নি। তাই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ফিরে এসেছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেন খন্দকার বলেন, সরেজমিনে সেতু এলাকা পরিদর্শন করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কুমিল্লায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে গেল সেতুর একাংশ

তারিখ : ০৬:১৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

দাউদকান্দি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি পাকা সেতুর একাংশ ভেঙে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার ছান্দ্রা গ্রামের কাছে কালাডুমুর নদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দুর্ঘটনার পর ওই বাল্কহেডের চালক ও তাঁর সহকারীরা সাঁতরে তীরে উঠে গেছেন।

ওই গ্রামের চার বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাত পৌনে তিনটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে তাঁদের ঘুম ভেঙে যায়। শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখেন, কালাডুমুর নদের ওপর সেতুর মাঝখানের একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাল্কহেডের চালক ও চালকের তিন সহকারীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে আজ শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত সেতুর ভাঙা অংশ বাল্কহেডের ওপর ও একাংশ নদীতে ডুবে আছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাল্কহেড ও সেতুটি উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় লোকজন বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে কালাডুমুর নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গতকাল রাতে মেসার্স রায়হান ইসরাত পরিবহনের একটি বাল্কহেডটি ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় বালু ফেলে ফিরছিল। খালি বাল্কহেডটি কালাডুমুর-গোমতী-মেঘনা নদী হয়ে গজারিয়ায় যাওয়ার পথে ছান্দ্রা গ্রামের কাছে পৌঁছালে বাল্কহেডটি সেতুর একটি পিলারে ধাক্কা দেয়। এতে সেতুর মাঝখানের একটি অংশ নদে পড়ে যায়।

ছান্দ্রা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আবদুল লতিফ বলেন, ওই সেতু দিয়ে উপজেলার গলিয়ারচর, চররায়পুর, চারপাড়া, দাসপাড়া, ভিটিচারপাড়া ও ছান্দ্রা গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ নিয়মিত যাতায়াত করত। তবে সেতু ভেঙে যাওয়ায় এখন প্রায় ছয় কিলোমিটার পথ ঘুরে গৌরীপুর বাজার–গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে যাতায়াত করতে হবে। নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এ দুর্ভোগ পোহাবেন।

জিংলাতলী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, আপাতত বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। পরে লোকজনের চলাচলের জন্য বিকল্প সেতু নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ফায়ার সার্ভিস দাউদকান্দি ইউনিটের স্টেশনমাস্টার মো. রাসেল বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে তাঁরা সেতু এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু বাল্কহেডটি সেতু ভেঙে আটকে থাকায় এবং লোকজন হতাহত না হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয়নি। তাই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ফিরে এসেছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেন খন্দকার বলেন, সরেজমিনে সেতু এলাকা পরিদর্শন করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।