বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের ঘটনা নিয়ে কেউ যাতে রাজনীতি করতে না পারে।
সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের বড় ভগ্নিপতি হাওলাদার পুকুর পাড় মসজিদের খতিব মাওলানা আবু সাইয়েদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ওবায়দুল কাদের মুজাক্কিরের মৃত্যৃতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকবেন।
এসময় তিনি তাদের বলেন, এ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কেউ যাতে কোনো রাজনীতি না করতে পারে সে জন্য সকলের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের ঘটনা নিয়ে মির্জা কাদের ও বাদলের গ্রুপের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের খেলা।
আবদুল কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে এসে বলেছেন, তিনি এখন অস্ত্র আর পুলিশ প্রশাসনের কাছে জিম্মি হয়ে গেছেন। ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে তিনি সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলেও বাদল গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। তাদের ভয়ে চরফকিরাতে দলের অনেক নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া হয়েছেন।
তিনি তার নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার জন্য বলেছেন। এমনকি সাংবাদিকের জানাজায় তাদের যেতে নিষেধ করেছেন কারণ সেখানে আবার রক্তপাতের ঘটনা ঘটবে।
তিনি আরো বলেন, ‘নিরীহ একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে । কি অপরাধ ছিল তার? বাদল ও তার সমর্থকরা ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশও মানছে না’।
আর এভাবে চললে তিনিও ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ মানবেন না। অপরাজনীতির হোতাদের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করে যাবেন বলে জানান।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে তার একজন একনিষ্ঠ কর্মী দাবি করে বলেন তার সঙ্গে নিয়মিত সব বিষয়ে যোগাযোগ করতো মুজাক্কির।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চাপরাশিরহাট আছরের নামাজের পর তিনি তার অনুরাসীদের নিয়ে একটি মতবিনিয়ম সভার আয়োজন করেন। কিন্তু ৯ কিলোমিটার দূর থেকে মির্জা কাদেরের নির্দেশ অস্ত্রধারীরা সেখানে এসে হামলা করে। এর দায় মির্জা কাদেরকে নিতে হবে।
এছাড়া নিহত সাংবাদিক মুজাক্কিরের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিক মুজাক্কিরের বড় ভাই নুর উদ্দিন জানান, ছোট ভাইয়ের হত্যাকে কেউ যাতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করতে পারে সেজন্য থানায় মামলা করবেন। তার দাবি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দ্রুত সময়ে দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
এদিকে পেশাগত কাজে দায়িত্ব পালন করার সময় নিহত হওয়া সাংবাদিক মুজাক্কিরের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে জেলা উপজেলা বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত সব আসামিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page