মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নে মিয়াবাজার-শিবের বাজার সড়কের বেলঘর গ্রামে রাস্তা সংলগ্ন খাল মাটি দিয়ে ভরাট করে বসতবাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় প্রায় একশ একর কৃষি জমির মালিক বা কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উজিরপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মিঞা নাছির উদ্দিন থেকে ক্রয়কৃত জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে শিবপুর গ্রামের মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে গ্রিস প্রবাসী মোঃ খোকন কৃষি জমি মাটি দিয়ে ভরাট করছে। মাটি ভরাট করতে গিয়ে রাস্তার পাশের পানি নিষ্কাশনের খালটিও ভরাট করে। পানি নিষ্কাশনের জন্য প্লাস্টিকের সরু একটি পাইপ দেয়।
জানা যায়, রাস্তার পাশের খালটি এক সময় অনেক চওড়া ছিল। বিভিন্ন ভাবে খালটি ভরাট হয়ে বর্তমানে ৪ ফুটের মত আছে। খালটি সরু হওয়ার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ এলাকার আবাদি জমিগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এমতাবস্থায় পানি নিষ্কাশনের এক মাত্র খালটিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় একশত একর আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘খালের জায়গা ভরাট করে স্থায়ীভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করায় অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে খালটি। খালটির পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ার কারণে আগামী বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর জলাবদ্ধতায় নষ্ট হবে প্রায় একশত একর জমির ফসল’।
এ বিষয়ে ভূমি মালিকের ভাই মাটি ভরাটকারী মোঃ নাদিম বলেন, ‘ভরাটকৃত জায়গায় ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সুবিধার্থে খালটি মাটি দিয়ে ভরাট করে একটি প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে সাময়িক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে পাইপটি সরিয়ে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দেয়া হবে’।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হাই বলেন, ‘ভারত থেকে বর্ষা মৌসুমে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ হল এ খালটি। যেভাবে খাল ভরাট করা হয়েছে, ধান আবাদের সময় পানি বের হওয়ার পথ নেই। আমি এবিষয়ে শিগগিরই প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমিন সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page