১০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় আইনজীবী আজাদ হত্যা মামলার চার্জশিটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ৩৫ জনের নেতাদের নাম রেজিস্টার অফিস স্থাপনের মধ্য দিয়ে ময়নামতি উপজেলা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু — ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন কুমিল্লায় র‍্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা ও স্কাফসহ ৩ জন গ্রেফতার কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে ব্যবসায়ির মাছ নিধন কুমিল্লায় প্রেমিককে ৪ টুকরো করে হত্যা; দুই দিন পর মিলাদ ও খিচুড়ি বিতরণ বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ কুমিল্লা নগরীর কাঁটাবিলে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সদর আসনের প্রার্থী রিয়াদের সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড

টানা সাড়ে ৩ মাস পর আগামীকাল খুলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

  • তারিখ : ০৬:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
  • 9

কুবি প্রতিনিধি।।
দীর্ঘদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাথে প্রশাসনের দ্বন্দ্বে এবং সরকারি-বেসরকারি ছুটি মিলিয়ে, গত ১৩ মার্চ থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণির কার্যক্রম।

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি না মানায় প্রথম দফায় ১৩ ও ১৪ মার্চ দুই দিন, দ্বিতীয় দফায় ১৯ থেকে ২৭ মার্চ ৯ দিন, একাডেমিক বন্ধ ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ দিন এবং তৃতীয় দফায় শ্রেণির কার্যক্রম ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল বন্ধ ছিল। এরপর প্রশাসনিকভাবে ২রা মার্চ পর্যন্ত মিডটার্ম পরীক্ষা বন্ধ থাকে। ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম সিন্ডিকেট মিটিং এ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে গত ১০ জুন প্রশাসনের এক সিন্ডিকেট সভার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ হিসেবে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে একটানা প্রায় সাড়ে তিন মাস।

গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে অনলাইন ফ্লাটফর্ম জুমে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের পর সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে একই সাথে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ২ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানা গেছে।

এসময় শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানান, ২৩ জুন (রোববার) থেকে ক্লাসে ফিরবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করে শনিবারে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দুপুর ১২ টা থেকে ২ পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এছাড়াও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেসব দাবি পূরণ না হলে পুনরায় ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, “শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমরা ২৩ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপাচার্যের কথায় আমরা বিশ্বাস রাখতে পারছি না। আমাদের দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি থাকবে। দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত শিক্ষকগণ প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবো। যে দিন আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হবে সেদিন থেকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসবো। একটি দাবিও যদি বাস্তবায়নে অপূর্ণ থাকে আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহ থাকবে। আশা করছি যে কমিটিগুলো করা হয়েছে তা আগামী ১৫ জুলাই এর মধ্যেই রিপোর্ট দিয়ে দিবে।

যদি রিপোর্ট দেওয়া হয় তাহলে ২০ জুলাই এর মধ্যেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের সকল দাবি পূরণ ও হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে কোন সহযোগিতা করবো না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য এর আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরপরও যদি নিয়োগ পরীক্ষা নিতে চায় তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবো।

যেহেতু ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি থাকবে এবং আগেও ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল তাই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আমরা শনিবারে অনলাইন ক্লাস নিবো। তবে উপাচার্য এবং ট্রেজারারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে।”

টানা সাড়ে ৩ মাস পর আগামীকাল খুলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

তারিখ : ০৬:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি।।
দীর্ঘদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাথে প্রশাসনের দ্বন্দ্বে এবং সরকারি-বেসরকারি ছুটি মিলিয়ে, গত ১৩ মার্চ থেকে প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণির কার্যক্রম।

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি না মানায় প্রথম দফায় ১৩ ও ১৪ মার্চ দুই দিন, দ্বিতীয় দফায় ১৯ থেকে ২৭ মার্চ ৯ দিন, একাডেমিক বন্ধ ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ দিন এবং তৃতীয় দফায় শ্রেণির কার্যক্রম ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল বন্ধ ছিল। এরপর প্রশাসনিকভাবে ২রা মার্চ পর্যন্ত মিডটার্ম পরীক্ষা বন্ধ থাকে। ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম সিন্ডিকেট মিটিং এ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে গত ১০ জুন প্রশাসনের এক সিন্ডিকেট সভার বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ হিসেবে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে একটানা প্রায় সাড়ে তিন মাস।

গত বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাতে অনলাইন ফ্লাটফর্ম জুমে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের পর সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে একই সাথে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ২ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানা গেছে।

এসময় শিক্ষক প্রতিনিধিরা জানান, ২৩ জুন (রোববার) থেকে ক্লাসে ফিরবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করে শনিবারে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে দুপুর ১২ টা থেকে ২ পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এছাড়াও দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেসব দাবি পূরণ না হলে পুনরায় ক্লাস-পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, “শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আমরা ২৩ জুন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপাচার্যের কথায় আমরা বিশ্বাস রাখতে পারছি না। আমাদের দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি থাকবে। দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত শিক্ষকগণ প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাবো। যে দিন আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়িত হবে সেদিন থেকে আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসবো। একটি দাবিও যদি বাস্তবায়নে অপূর্ণ থাকে আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহ থাকবে। আশা করছি যে কমিটিগুলো করা হয়েছে তা আগামী ১৫ জুলাই এর মধ্যেই রিপোর্ট দিয়ে দিবে।

যদি রিপোর্ট দেওয়া হয় তাহলে ২০ জুলাই এর মধ্যেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আমাদের সকল দাবি পূরণ ও হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্যকে প্রশাসনিক কার্যক্রমে কোন সহযোগিতা করবো না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য এর আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এরপরও যদি নিয়োগ পরীক্ষা নিতে চায় তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবো।

যেহেতু ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি থাকবে এবং আগেও ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল তাই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে আমরা শনিবারে অনলাইন ক্লাস নিবো। তবে উপাচার্য এবং ট্রেজারারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকবে।”