০১:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় জুলাই মাসে ১১টি হত্যা, ধর্ষণের মামলার ৮টি কুমিল্লায় ৩৩ বছরের ইমামত শেষে রাজকীয় বিদায়; কাঁদলেন এলাকাবাসী সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার মুরাদনগরে মানববন্ধন কুমিল্লায় ওয়ার্কশপ মালিকে কুপিয়ে হত্যা; বিশ্রাম কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় যুবককে হত্যার পর ৪ টুকরো, খাল থেকে ২ হাত উদ্ধার কুমিল্লায় বিয়েবাড়ির জিলিক বাতির বিদ্যুৎস্পর্শে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু শিক্ষকতা শেষে সহকর্মী-শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় আপ্লুত কুমিল্লার স্বপন কুমার

মনোহরগঞ্জে গৃহবধূকে মারধর; থানায় অভিযোগ দেয়ারপর ঘর বাড়ি ভাঙচুর

  • তারিখ : ০৬:২৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 3

নেকবর হোসেন।।
পারিবারিক দ্বন্দ্বে মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানরা গ্রামে এক গৃহবধূর উপর সন্ত্রাসী হামলা পরে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।গত ৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওই এলাকার আফাজ উদ্দীন তার স্ত্রী তাহেরা বেগম ও দুই ছেলে ইয়াসিন, তারেক,এবং আফাজ উদ্দীনের স্ত্রীর প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে আয়শা,বিলকিছ মিলে তার বড় ছেলে ইসমাইলের স্ত্রী আমেনা আক্তারকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে।

এনিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস দরবার হলেও নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি আমেনা আক্তার।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে আমেনা আক্তার ঘরের সামনে কাজ করা অবস্থায় ইয়াসিন আমেনাকে গালাগালি করতে থাকে, এসময় আমেনা পাশ্ববর্তী এক মহিলাকে শুনতে বললে ইয়াসিন এলোপাতাড়ি মরধর করতে থাকে। এসময় আমেনার চিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ইয়াসিন পালিয়ে যায়।পরে আমেনা সন্ধ্যার পর মনোহরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তার শ্বশুর আফাজ উদ্দীন তার স্ত্রী মিলে আমেনার বসতঘর ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে আমেনার স্বামী গাড়িচালক ইসমাইল বাড়িতে গেলে তাকেও মারধর করে। আমেনা আক্তার থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে আসলে তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয় মেম্বার আলমগীর হোসেন আমেনা ও তার দুই সন্তানকে তাদের ঘরে আশ্রয় দেয়।

এরপর গতকাল সোমবার সকালে তাহেরা বেগমের প্রথম পক্ষের মেয়ে আয়শা, বিলকিছ আমেনার উপর আবারো হামলা করে মারধর করে। এখন নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাকে এনিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সে। গ্রামের লোকজন জানান আফাজ উদ্দীনের পরিবারের সবাই খারাপ প্রকৃতির লোক, মান সম্মানের ভয়ে কেউই কথা বলেনা।

তারা বলেন এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া দরকার। এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে উভয় পক্ষকে মঙ্গলবার থানায় আসতে বলা হয়েছে।

মনোহরগঞ্জে গৃহবধূকে মারধর; থানায় অভিযোগ দেয়ারপর ঘর বাড়ি ভাঙচুর

তারিখ : ০৬:২৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নেকবর হোসেন।।
পারিবারিক দ্বন্দ্বে মনোহরগঞ্জ উপজেলার মানরা গ্রামে এক গৃহবধূর উপর সন্ত্রাসী হামলা পরে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।গত ৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ওই এলাকার আফাজ উদ্দীন তার স্ত্রী তাহেরা বেগম ও দুই ছেলে ইয়াসিন, তারেক,এবং আফাজ উদ্দীনের স্ত্রীর প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে আয়শা,বিলকিছ মিলে তার বড় ছেলে ইসমাইলের স্ত্রী আমেনা আক্তারকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে।

এনিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস দরবার হলেও নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি আমেনা আক্তার।

গত ৩ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে আমেনা আক্তার ঘরের সামনে কাজ করা অবস্থায় ইয়াসিন আমেনাকে গালাগালি করতে থাকে, এসময় আমেনা পাশ্ববর্তী এক মহিলাকে শুনতে বললে ইয়াসিন এলোপাতাড়ি মরধর করতে থাকে। এসময় আমেনার চিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ইয়াসিন পালিয়ে যায়।পরে আমেনা সন্ধ্যার পর মনোহরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিতে গেলে তার শ্বশুর আফাজ উদ্দীন তার স্ত্রী মিলে আমেনার বসতঘর ভাঙচুর করে।

খবর পেয়ে আমেনার স্বামী গাড়িচালক ইসমাইল বাড়িতে গেলে তাকেও মারধর করে। আমেনা আক্তার থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে আসলে তাকে ঘরে ঢুকতে দেয়নি অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয় মেম্বার আলমগীর হোসেন আমেনা ও তার দুই সন্তানকে তাদের ঘরে আশ্রয় দেয়।

এরপর গতকাল সোমবার সকালে তাহেরা বেগমের প্রথম পক্ষের মেয়ে আয়শা, বিলকিছ আমেনার উপর আবারো হামলা করে মারধর করে। এখন নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাকে এনিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সে। গ্রামের লোকজন জানান আফাজ উদ্দীনের পরিবারের সবাই খারাপ প্রকৃতির লোক, মান সম্মানের ভয়ে কেউই কথা বলেনা।

তারা বলেন এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া দরকার। এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে উভয় পক্ষকে মঙ্গলবার থানায় আসতে বলা হয়েছে।