১০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় প্রেমিককে ৪ টুকরো করে হত্যা; দুই দিন পর মিলাদ ও খিচুড়ি বিতরণ বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে অভিভাবক সমাবেশ কুমিল্লা নগরীর কাঁটাবিলে জোরপূর্বক প্রবাসীর জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে সদর আসনের প্রার্থী রিয়াদের সংবাদ সম্মেলন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু কুমিল্লায় ভেজাল জুস ও যৌন উত্তেজক পণ্য কারখানায় অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লা লাকসাম (মুদাফ্ফরগঞ্জ) ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক উপজেলা কমিটি গঠিত কুমিল্লায় জুলাই মাসে ১১টি হত্যা, ধর্ষণের মামলার ৮টি কুমিল্লায় ৩৩ বছরের ইমামত শেষে রাজকীয় বিদায়; কাঁদলেন এলাকাবাসী সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মানববন্ধন

১ রানে পাঁচ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

  • তারিখ : ০৮:০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০
  • 216

টর্নেডোর গতিতে শুরু করে সাইক্লোনের বেগেই যেন শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কী দুর্দান্ত সূচনাই না করেছিলেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও আন্দ্রে ফ্লেচার। প্রথম ৩ ওভারেই বিনা উইকেটে আসে ৫৫ রান। কিন্তু এরপর ১২ বলে মাত্র ১ রান করতেই সাজঘরে ফিরে গেছেন ৫ ব্যাটসম্যান।

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের এ গল্প লিখেছেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৮ থেকে চোখের পলকে ৫ উইকেটে ৫৯ রানে পরিণত করেছেন লকি ফার্গুসন-টিম সাউদিরা।

অকল্যান্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন কিং ও ফ্লেচার। কিউই অধিনায়ক সাউদির করা প্রথম ওভার থেকে ৮ রান নেয়ার পর অভিষিক্ত পেসার কাইল জেমিসনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আসে দুই ছক্কার মারে ১৮ রান। বৃষ্টিতে খানিক সময়ের জন্য বন্ধ হয় খেলা।

পুনরায় শুরু হওয়ার পর ৯ বলের দীর্ঘ এক ওভার করেন হ্যামিশ বেনেট। যেখানে ৩ চার ও ১ ছয়ের সঙ্গে একটি ওয়াইড+৪ হজম করেন বেনেট। সবমিলিয়ে সেই ওভার থেকে আসে ২৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান। চতুর্থ ওভার করতে আসেন ফার্গুসন, প্রথম বলেই ৩ রান নেন কিং।

এরপরের ১২ বল থেকে আর মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, উইকেট হারায় পাঁচটি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৪৭ কিমি. প্রতি ঘণ্টার ডেলিভারিতে সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৪ বলে ৩৪ রান করা ফ্লেচার। তিন বল ডট দিয়ে শেষ বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শিমরন হেটমায়ার।

পঞ্চম ওভার নিয়ে আসেন সাউদি। এই ওভারের শেষ বলে মাত্র ১ খরচ করেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে ১০ বলে ১৩ রান করা কিং ও পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই রভম্যান পাওয়েলকে ফেরান সাউদি। যার ফলে ৩.২ থেকে ৪.৫ ওভার পর্যন্ত ১০ বলে ০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এখানেই শেষ হয়নি ধ্বংসলীলা। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আবারও আক্রমণে আনা হয় ফার্গুসনকে। এবার তিনি প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন আগের ওভারের শেষ বলে ১ রান নেয়া নিকলাস পুরানকে। এই উইকেটের সুবাদে ৩.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৮ থেকে ৫.১ ওভার অর্থাৎ ১২ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেটে ৫৯ রানের দলের পরিণত হয় ক্যারিবীয়রা।

ফার্গুসনের ঐ ওভার থেকে আর মাত্র ১ রান নিতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬০ রান। অথচ প্রথম ৩ ওভারেই তারা করে ফেলেছিল ৫৫ রান। সেখান থেকে পরের তিন ওভারে ৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে উপরের সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানের উইকেট।

১ রানে পাঁচ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

তারিখ : ০৮:০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০২০

টর্নেডোর গতিতে শুরু করে সাইক্লোনের বেগেই যেন শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কী দুর্দান্ত সূচনাই না করেছিলেন দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও আন্দ্রে ফ্লেচার। প্রথম ৩ ওভারেই বিনা উইকেটে আসে ৫৫ রান। কিন্তু এরপর ১২ বলে মাত্র ১ রান করতেই সাজঘরে ফিরে গেছেন ৫ ব্যাটসম্যান।

অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের এ গল্প লিখেছেন নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৮ থেকে চোখের পলকে ৫ উইকেটে ৫৯ রানে পরিণত করেছেন লকি ফার্গুসন-টিম সাউদিরা।

অকল্যান্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন কিং ও ফ্লেচার। কিউই অধিনায়ক সাউদির করা প্রথম ওভার থেকে ৮ রান নেয়ার পর অভিষিক্ত পেসার কাইল জেমিসনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আসে দুই ছক্কার মারে ১৮ রান। বৃষ্টিতে খানিক সময়ের জন্য বন্ধ হয় খেলা।

পুনরায় শুরু হওয়ার পর ৯ বলের দীর্ঘ এক ওভার করেন হ্যামিশ বেনেট। যেখানে ৩ চার ও ১ ছয়ের সঙ্গে একটি ওয়াইড+৪ হজম করেন বেনেট। সবমিলিয়ে সেই ওভার থেকে আসে ২৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৫ রান। চতুর্থ ওভার করতে আসেন ফার্গুসন, প্রথম বলেই ৩ রান নেন কিং।

এরপরের ১২ বল থেকে আর মাত্র ১ রান নিতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, উইকেট হারায় পাঁচটি। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১৪৭ কিমি. প্রতি ঘণ্টার ডেলিভারিতে সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৪ বলে ৩৪ রান করা ফ্লেচার। তিন বল ডট দিয়ে শেষ বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শিমরন হেটমায়ার।

পঞ্চম ওভার নিয়ে আসেন সাউদি। এই ওভারের শেষ বলে মাত্র ১ খরচ করেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে ১০ বলে ১৩ রান করা কিং ও পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই রভম্যান পাওয়েলকে ফেরান সাউদি। যার ফলে ৩.২ থেকে ৪.৫ ওভার পর্যন্ত ১০ বলে ০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

এখানেই শেষ হয়নি ধ্বংসলীলা। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আবারও আক্রমণে আনা হয় ফার্গুসনকে। এবার তিনি প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন আগের ওভারের শেষ বলে ১ রান নেয়া নিকলাস পুরানকে। এই উইকেটের সুবাদে ৩.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৮ থেকে ৫.১ ওভার অর্থাৎ ১২ বলের ব্যবধানে ৫ উইকেটে ৫৯ রানের দলের পরিণত হয় ক্যারিবীয়রা।

ফার্গুসনের ঐ ওভার থেকে আর মাত্র ১ রান নিতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬০ রান। অথচ প্রথম ৩ ওভারেই তারা করে ফেলেছিল ৫৫ রান। সেখান থেকে পরের তিন ওভারে ৫ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে উপরের সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানের উইকেট।