মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা। গণমাধ্যমে কাজ করেন ফারজানা নিশাত। গত সেপ্টম্বর মাসে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হারিয়ে ফেলেন। পেশাগত জীবনের নানান তথ্য উপাত্ত ছিলো । তাই মোবাইলটি হারিয়ে বিষন্নতায় মুষরে পড়েন। পরে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায়। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে পুলিশ হারানো মোবাইলটি উদ্ধার করে। পরে হারানো মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফারজানা নিশাত বলেন, মোবাইল ফোনটি হারিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। অনেক তথ্য উপাত্ত ছিলো। পরে এক রকম আশাই ছেড়ে দিলাম। পুলিশ মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে আমাকে খবর দেয়। পুলিশের এমন পেশাদারিত্বে সত্যিই অভিভূত হয়েছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশকে।
পেশায় শিক্ষক আবদুল আলিম। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেন। অনেক গুরত্বপূর্ণ তথ্য ছিলো। একরকম নিরাশ হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। মনে মনে ধরে নিয়েছেন আর কোনদিন পছন্দের মোবাইলটি ফিরে পাবেন না। তবে ডায়রী করার একমাসের মধ্যেই কোতয়ালী থানা থেকে ফোন আসে। নাম জানতে চেয়ে অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, উদ্ধার করা হয়েছে আপনার মোবাইল ফোনটি। থানা থেকে এসে নিয়ে যান। এমন খবরে আনন্দে উদ্বেলিত শিক্ষক আবদুল আলিম বলেন, পুলিশ এখন সেবায় অনেক এগিয়েছে।
গৃহবধু ঝর্ণা বলেন, আমার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটিতে অনেক পুরোনো ছবি ছিলো। আমার বাবা যিনি এখন দুনিয়াতে নেই। বাবার সাথে আমাদের ভাই বোনদের অনেক ছবি ছিলো। মাঝে মাঝে মোবাইল খুলে ছবি দেখতাম। ভালো লাগতো। গত সেপ্টেম্বর মাসে জরুরী কাজে কান্দিরপাড় আসার পর মোবাইলটি হারিয়ে যায়। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। পরে থানায় ডায়েরী করি। গত কয়েকদিন আগে কোতয়ালী থানার পুলিশ ফোন করে জানায় আমার মোবাইল ফোনটি ফিরে পেয়েছে। পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গৃহবধু ঝর্ণা জানান, টাকা হারিয়ে গেলেও এত কষ্ট পেতাম না মোবাইলটি হারিয়ে যাওয়ার পর যে কষ্ট পেয়েছি। এখন খুব ভালো লাগছে। বলে বুঝানো যাবে না।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাসূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর ও চলতি নভেম্বর মাসে ৩১ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। যার মধ্যে অক্টোবর মাসে ২২ টি এবং চলতি নভেম্বর মাসে ৯ টি। মোট ৩১ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন পিপিএম বলেন, “সেবাই পুলিশের সুমহান ব্রত। পুলিশ সুপার কুমিল্লার নেতৃত্বে আমরা টিম কুমিল্লা সার্বক্ষণিক নাগরিকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিন্তকরনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একটি মোবাইল হারানোকে আমরা শুধু মোবাইল হিসেবেই দেখিনা এর সাথে অনেকের ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, স্মৃতি, আবেগ জড়িয়ে থাকে তাই এই সংক্রান্ত জিডিগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়। নাগরিকদের কাঙ্খিত সেবা প্রদানে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। “
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page