আশরাফুল হক, কলেজ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের লোগো নিয়ে নানা বিভ্রান্তি দেখা দেখা গেছে। একারণে মোবাইল ‘অ্যাপ’ ই-বন্ধন চালু করা হলেও তা মুছে দেয় গুগল। কোনো নির্দিষ্ট লোগো না থাকায় শতবর্ষী এ প্রতিষ্ঠানের অ্যাপটিকে ভুয়া বলে বাতিল করে দিয়েছে গুগল। এছাড়াও কলেজের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, বিভিন্ন বিভাগের প্যাড, বিজ্ঞপ্তি, ম্যাগাজিনসহ নানা প্রকাশনায় একাধিক লোগো ব্যবহার করতে দেখা গেছে। ইন্টারনেটেও এ কলেজের একাধিক লোগো দেখা যায়।
১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ভিক্টোরিয়া কলেজ। কলেজের লোগোটির নিজের অংশে একটি সোজা রেখা, যার নিচে লিখা আছে স্থাপিত-১৮৯৯। ওপরে লাল গোলাকার বৃত্তের পাশে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, সবার ওপরে লাল রঙের তারকা রয়েছে। লাল বৃত্তের ভিতরের অংশে নিচের অংশে বই, ওপরের অংশে ঝরনা কলমের নিবের অংশ ও কচি সবুজ পাতা রয়েছে।
প্রাক্তন অধ্যক্ষ তিতাশ চৌধুরী এ কলেজের ইতিহাস নিয়ে লিখিত একাধিক বইয়ে লোগোর ইতিহাস বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদে কলেজের লোগো ব্যবহার করা হলেও বর্তমান লোগোর সাথে এর কোনো মিল নেই। ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকায় যে লোগো ব্যবহার করা হয়েছে, তার সাথে বর্তমান-অতীতের কোন লোগোর মিল নেই। কলেজের ওয়েবসাইট, কলেজের শতবর্ষ পূর্তি তোরণ, অফিসিয়াল ফেসবুক, বিভাগ ভিত্তিক ম্যাগাজিন, গুগল, উইকিপিডিয়া, বার্ষিক বন্ধন ২০২০ ও নোটিশ বোর্ডের লোগোর আংশিক অমিল রয়েছে। এসব লোগোতে কোনটিতে বইয়ের রং সাদা, কোনটিতে কালো, কোনটিতে সবুজ। কিছু লোগোতে বইয়ে রেখা আছে, কিছুতে নেই। কোন কোন লোগোতে পাতা সবুজ, কোন কোন লোগোতে কালো রং ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু লোগোতে বইয়ে একটি পাতা দেখা গেছে, আবার কিছু বইয়ে একাধিক পাতা দেখা গেছে।
এ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরী বলেন, কলেজের লোগো কত সালে কে তৈরি করেছেন, আমার ঠিক জানা নেই। ১৯৬৩-৬৪ সনের দিকে আমি বাংলার প্রভাষক তখন মনে হয় কলেজের লোগো ছিলো না। থাকলেও ততটা ব্যবহার করা হতো না। দেশের বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেছি। পরে যখন বাংলা বিভাগের প্রধান হিসাবে আবার এ কলেজে ৯৪ সনে আসি, তখন এ লোগো ছিলো। তবে কলেজের লোগো একটা হবে এটাই নিয়ম।
১৯৫৩ সালের কলেজ ম্যাগাজিন জাগৃতি, ১৯৭২ সালে ছাত্র সংসদ থেকে প্রকাশিত একুশের সংকলন গ্রন্থের প্রচ্ছদে কলেজের লোগো ব্যবহার করা হয়নি। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বইয়ে কলেজের লোগোর ব্যবহার দেখা যায়।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, শিক্ষক পরিষদ এক যুগের বেশি সময় বন্ধন নামে একটি বার্ষিক প্রকাশনা বের করছে। যার মধ্যে কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। আমরা ই-বন্ধন মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছি। এটি প্লে-স্টোরে একদিন ছিলো। পরদিন গুগল কর্তৃপক্ষ লোগো ফেইক বলে বাতিল করে দেয়। কারণ গুগল, কলেজ, ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও উইকিপিডিয়ায় এ কলেজের লোগোর সাথে আমাদের লোগোর মিল নেই। তাই আমরা অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে সকল কাজে একই লোগো ব্যবহার করবো।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page