মনির খাঁন।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার ড্রেজার মেশিন অপসারনের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামে শতাধিক কৃষক সহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নেয়। এসময় বক্তব্য রাখেন- সাহেবনগর গ্রামের কৃষক মো: জব্বার, কাজী রফিক, আবুল কালাম, সাহেবনগর জামে মসজিদের সভাপতি বাতেন মাস্টার, সেক্রেটারি মো: গিয়াসউদ্দিন, সদস্য কাজী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- শ্রীকাইল সাহেবনগর বিলে দীর্ঘদিন যাবত কৃষিজমি থেকে মাটি কাটছেন একই গ্রামের মৃত. জামাল উদ্দিন ধনুর ছেলে ইসমাঈল হোসেন উজ্জল। ৪ বছর আগে উজ্জল এই বিলে ৬০শতক জমি ক্রয় করে প্রথম ড্রেজার মেশিন স্থাপন করেছিলেন। এখন সে ওই বিলের কৃষকদের জিম্মি করে ৫শ’ শতক জমি কিনে সেখান থেকে মাটি কাটছেন। তার ড্রেজার স্থাপনের জায়গায় সাহেবনগর জামে মসজিদের ওয়াকফ্কৃত ৪১ শতক জমিও রয়েছে।
ইতিমধ্যে মসজিদের জমিও ড্রেজার গর্তে ভেঙ্গে বিলিন হয়ে যাচ্ছে তার প্রতিবাদ করলে উজ্জল তার দলবল নিয়ে মসজিদ কমিটির সদস্য কাজী জাহাঙ্গীরকে হুমকি দিচ্ছেন মসজিদের জমি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য। ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কৌশল হচ্ছে সর্বপ্রথম কিছু জমি কিনে সেখানে ড্রেজার মেশিন স্থাপন করা। পরে ড্রেজার স্থাপনকৃত জমি থেকে মাটি কাটার ফলে আশপাশের জমিগুলো ভাঙ্গনের সৃষ্টি হলে, পাশের জমিগুলো কৃষকদের কাছ থেকে নামমাত্র দামে কিনে নিয়ে মাটি কাটা অব্যাহত রাখছেন।
ভাঙ্গা জমি ড্রেজার গর্তে বিলিন হওয়ার ভয়ে কৃষকরা একপ্রকার জিম্মি হয়ে নামমাত্র দামে তা বিক্রি করতে এসব মাটিখেঁকোদেও কাছে বাধ্য হয়। আমরা চাই কৃষিজমি রক্ষায় প্রশাসন যেন এসব ভূমিখেঁকো ড্রেজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে কৃষদের পাশে দাড়ায়। তা না হলে ড্রেজার ব্যবসায়ী এসব মাটিখেঁকোদের কাছে জিম্মি হয়ে কৃষক তাদের কৃষি জমি হারাবে। এসময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সাহেবনগর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সফিকুল ইসলাম, কৃষক মো: বাবুল, মো: মোখলেস, হেনা আহাম্মদ হেলাল, ফজলুল হক প্রমুখ।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page