স্টাফ রিপোর্টার।।
বজ্রপাত রোধে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে ১০ হাজার তাল গাছ রোপন শুরু করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্কাউট, কুমিল্লা জেলা রোভার ও আবেদা-আশরাফ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকালে কালিরবাজার আদন্দপুর ড্রিগী কলেজে ১০ হাজার তাল গাছ রোপন কর্মসূচির উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউট রোভার অঞ্চল এর কোষাধ্যক্ষ ও সেনবাগ সরকারি কলেজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক একেএম সেলিম চৌধুরী।
আবেদা আশরাফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল এর সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ এনামুল হক খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল এর উপ-পরিচালক এ এইচ এম মহসিন, বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল ডিআরসি হেদায়েতুল ইসলাম প্রিন্স, কুমিল্লা জেলা রোভার এর কোষাধ্যক্ষ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগি অধ্যাপক ডক্টর জান্নাতুল ফেরদৌস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা রোভার এর সম্পাদক মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন খন্দকার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আনন্দপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ উম্মে নাসরিন নূর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা রোভার এর সহকারী কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান, আনন্দপুর ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান খান, আবেদা আশরাফ ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক ডাক্তার মীর আহমেদ খান, আনন্দপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ মাহফুজুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
১০ হাজার তাল গাছ রোপন কর্মসূচি শনিবার সকাল থেকে কালিরবাজার সৈয়দপুর সড়ক, কাকালিরবাজার-কোটবাড়ি সড়ক, কালিরবাজার সৈয়দপুর- সড়ক, কালিরবাজার বাতাইছড়ি সড়ক, কালিরবাজার-কাবিলা সড়কসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়।
তাল গাছ রোপন কর্মসূচির উদ্ধোনী অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, বজ্রাঘাতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে তাল গাছ রোপনের ভূমিকা স্বীকৃত। বন্যা ও ভূমিধস রোধেও তালগাছের গোড়া ও শিকড় ভালো ভূমিকা রাখে। তাই বজ্রপাতের মতো আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গ্রামেগঞ্জে প্রচুর পরিমাণে তালগাছ গাছ থাকলে সেগুলো বজ্র নিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারে। এ গাছই বজ্রপাত শোষক হিসাবে কাজ করবে। তাই কালিরবাজার ইউনিয়নের ৫টি সড়কসহ বিভিন্ন খালি জায়গায় একযোগে ১০ হাজার তালগাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page