মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা।।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে “ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, কৃষিপণ্যের বিপণন কৌশল ব্যবস্থাপনা, কৃষিপণ্যের নিরাপদ মোড়কীকরণ, এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব” শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুমিল্লা আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও যুগ্মসচিব ওমর মোঃ ইমরুল মহসিন। প্রশিক্ষনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (দাঃপ্রাঃ) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কিশোর কুমার সাহা, সিনিয়র কৃষি বিপনন কর্মকর্তা ( দাঃ প্রাঃ) মোহাম্মদ জাকারিয়াসহ অন্যান্যরা।
প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ সানোয়ার হোসেন।
প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি কৃষিপণ্য সংগ্রহের উপযুক্ত সময়ে কৃষিপণ্য উত্তোলন এবং সহনীয় লভ্যাংশ যোগ করে ভোক্তাদের নিকট বিক্রয় করার জন্য উপস্থিত কৃষিকদেরকে অনুরোধ করেন। যাতে করে কৃষক এবং ভোক্তা উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা হয়। তিনি আরো বলেন, কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণ এবং উপযুক্ত সময়ে বিক্রির মাধ্যমে অধিক মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে অত্র অধিদপ্তর “কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন এবং বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্প” গ্রহণ করেছেন যেখানে ৪৫০টি মডেল ঘর নির্মাণ করা হবে। যেখানে ৩-৬ মাস পেঁয়াজ ভালো থাকবে। এছাড়াও এই আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আওতায় যে প্রসেসিং সেন্টার আছে সেখানে সকল কৃষক ও উদ্যোক্তাগণ ব্যবহার করে বিভিন্ন কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানীতে ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ ও পরিবহনে ক্ষৃকদেরকে সচেতন হবার পরামর্শ প্রদান করেন এবং কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতার আশা পুনঃব্যক্ত করেন।
সভাপতি মো: সানোয়ার হোসেন বলেন কৃষি এবং কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page