০৫:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার এক মাস ৯ দিন পর সাব্বিরের মৃত্যু

  • তারিখ : ০২:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 32

স্টাফ রিপোর্টার।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট কুমিল্লার দেবিদ্বারে গুলিতে আহত মো. সাব্বির (১৭) মারা গেছেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। সাব্বির দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলমগীর মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনার বিদায়ের পর সারাদেশের ন্যায় দেবিদ্বার উপজেলায়ও ছাত্র-জনতা আনন্দ মিছিল করে। একপর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতকারী থানায় আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয় পুলিশের পিকাপভ্যান। পরে থানায় থাকা পুলিশের ওপরও আক্রমণ চালায়। তখন পুলিশ গুলি চালালে এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন প্রায় ৬০ জন। ওই সময় সাব্বিরের মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাব্বিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওইখানে প্রায় একমাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর সাব্বির বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার একদিন পরই শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাব্বিরে মৃত্যু হয়।

সাব্বিরের মা রিনা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গতকাল সন্তানকে নিয়ে বাড়ি আসেন। কিন্তু সকালে সাব্বির মারা যান। গত দুই বছর আগে সাব্বিরের বাবা মারা যাওয়ায় তার আর লেখা পড়া করা হয়নি। সিএনজি চালিয়ে সংসারের হাল ধরেন।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ দাফন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সাব্বিরের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার এক মাস ৯ দিন পর সাব্বিরের মৃত্যু

তারিখ : ০২:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার।।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট কুমিল্লার দেবিদ্বারে গুলিতে আহত মো. সাব্বির (১৭) মারা গেছেন।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। সাব্বির দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলমগীর মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনার বিদায়ের পর সারাদেশের ন্যায় দেবিদ্বার উপজেলায়ও ছাত্র-জনতা আনন্দ মিছিল করে। একপর্যায়ে কিছু দুষ্কৃতকারী থানায় আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয় পুলিশের পিকাপভ্যান। পরে থানায় থাকা পুলিশের ওপরও আক্রমণ চালায়। তখন পুলিশ গুলি চালালে এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন প্রায় ৬০ জন। ওই সময় সাব্বিরের মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সাব্বিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওইখানে প্রায় একমাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর সাব্বির বাড়িতে ফেরেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার একদিন পরই শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সাব্বিরে মৃত্যু হয়।

সাব্বিরের মা রিনা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে গতকাল সন্তানকে নিয়ে বাড়ি আসেন। কিন্তু সকালে সাব্বির মারা যান। গত দুই বছর আগে সাব্বিরের বাবা মারা যাওয়ায় তার আর লেখা পড়া করা হয়নি। সিএনজি চালিয়ে সংসারের হাল ধরেন।

দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে মরদেহ দাফন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সাব্বিরের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।