স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক-সিএনজি ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক নারীসহ তিনজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজীবাড়ি ইউটার্নে ঘটনাটি ঘটে।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রামমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজীবাড়ির সামনে ইউটার্নে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোটগামী একটি সিএনজি ও একটি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে ট্রাকের নিচে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ঘটনাস্থলেই দুজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হন।
নিহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী। এ সময় আরো পাঁচজন আহত হয়।
আহতরা হলেন নাঙ্গলকোট উপজেলার মহিশ্বর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (২৭), আলী হোসেনের ছেলে অটোচালক মাহবুবুল হক ও আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪২)। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে আব্দুর রহিম, আনোয়ারা বেগম, আবু তৈয়বসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অটোরিকশাচালক মাহবুবুল হক বলেন, লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রামমুখী একটি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে এসে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোটগামী সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এই সময় আমি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজির পেছনে ধাক্কা দেই। এতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়। ট্রাক, সিএনজি ও অটোর ত্রিমুখী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩ জন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ট্রাকের ভেতরে সিএনজি ঢুকে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।’











