জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লার মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে সংঘটিত একই পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যার মামলায় র্যাব-১১ এর অভিযানে ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগরস্থ র্যাব-১১ সদর দফতর থেকে শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গত ৩ জুলাই সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে ভিকটিম রোকসানা আক্তার রুবি (৫৫), তার মেয়ে জোনাকী (২৪) ও ছেলে রাসেল (২৭)-কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রোকসানার অপর দুই মেয়ে রিক্তা (৩২) ও রুমা (২৭) গুরুতর আহত হন।
পরদিন (৫ জুলাই) রিক্তা বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর- ০৪)। মামলায় মোট ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ঘটনার পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকা থেকে এজাহারনামীয় আসামি বাচ্চু মিয়া, রবিউল আওয়ালসহ ৪ জনকে এবং কুমিল্লার হায়দরাবাদ এলাকা থেকে দুলাল ও তার ছেলে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছেন—
১। বাচ্চ মিয়া (৫৫), পিতা: মত আলী আকবর, ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
২। রবিউল আওয়াল (৫৫), পিতা: মৃত ছপি মোল্লা, ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
৩। আতিকুর রহমান (৪২), পিতা: বাচ্চু মিয়া, ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
৪। মোঃ বায়েজ মাস্টার (৪৩), পিতা: রবিউল আওয়াল, ঠিকানা: কড়ইবাড়ি, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
৫। দুলাল (৪৫), পিতা: মালু মিয়া, ঠিকানা: হায়দরাবাদ, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
৬। আকাশ (২৪), পিতা: দুলাল, ঠিকানা: হায়দরাবাদ, বাঙ্গরা বাজার, কুমিল্লা
অভিযানে আসামিদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। মোবাইল চুরির ঘটনার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তারা এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “ঘটনার পর পরই র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দ্রুত সময়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার সম্ভব হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের বাঙ্গরা বাজার থানায় হস্তান্তর করা হবে।”
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page