স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের উজিরপুর ইউনিয়নে মো: আনা মিয়া (৫৯) নামে এক খদ্দেরসহ মোসা: নিশি বেগম (২৬) নামে এক পতিতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত আনা মিয়া উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিমুড়ি গ্রামের মৃত আক্রাম আলীর ছেলে।
এঘটনায় আটককৃত নিশি বেগম স্থানীয়দের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানান, উত্তর প্রতাপপুরের মৃত ইয়াছিন মিয়ার ছেলে শহিদ উল্লাহ্ (৫৫) নামে এক ব্যক্তি তাকে ১৫০০ টাকা চুক্তিতে অনৈতিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে সে পালিয়ে যায়। নিশির সাথে আটককৃত আনা মিয়া বিষয়টি স্বীকার করে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাত সাড়ে দশটার সময় উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের উত্তর প্রতাপপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল আউয়ালের বেগুন ক্ষেতের ভিতর অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আনা মিয়া ও নিশি বেগমকে স্থানীয়রা আটক করে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আব্দুল জলিল খাঁজা ও সাবেক মেম্বার মোহনের সহযোগিতায় আটককৃতদের চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল মুঠোফোনে বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় দু’জনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। পুলিশ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে বলে জেনেছি। এঘটনার সন্দেহভাজন মূলহোতা শহিদ উল্লাহ্ নামে একজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সামাজিকভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই শামীম বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে এক নারীসহ আনা মিয়া নামে একজনকে আটক করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসি। পরে ২৯০ ধারায় আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে বিষয়টির মিমাংশার কথা বলে এঘটনার সন্দেহভাজন মূলহোতা শহিদ উল্লাহর কাছ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খাঁজা মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন তদন্তে অর্থ লেনদেনের সত্যতা পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খাঁজার ব্যবহৃত ০১৮৩১৮৮৮৯৯৪ মোবাইল নম্বরটিতে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার একই নম্বরে কল দিলে তিনি আর কলটি রিসিভ করেননি। এরপর ভিন্ন আরেকটি নম্বর থেকে কল করলে তিনি রিসিভ করে টাকা গ্রহণের অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, আপনারা নিউজ করলে করেন, এতে আমার কিছু যায় আসে না’।
জনশ্রুতি রয়েছে জনপ্রতিনিধি হিসেবে পাশ করার পর থেকে সামাজিক বিভিন্ন ঘটনায় মিমাংশার কথা বলে উভয় পক্ষের কাছ থেকেই আর্থিক সুবিধা নিতেন অভিযুক্ত এই খাঁজা মেম্বার।
জানা যায়, পালিয়ে যাওয়া শহিদ উল্লাহ দুই দিন পর বাড়ী আসলে তার ছোট ছেলে মীর হোসেন অনৈতিক কার্যকলাপ ও খাঁজা মেম্বারকে টাকা দেওয়ার কথা জানতে পেরে লোকলজ্জায় ক্ষিপ্ত হয়ে পিতার মাথা ফাটিয়ে দেয়।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page