০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চৌদ্দগ্রামে কাশিনগর ইউনিয়ন দক্ষিণ ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা বুড়িচংয়ে ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দুম্বার মাংস বিতরণ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়া যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা কুমিল্লার লাভলী আক্তারকে সম্মাননা স্মারক প্রদান কক্সবাজারের আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ, কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জন নিহত ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রভা বাঁচতে চায় মুরাদনগরে শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুবিতে রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে ‘স্টাডি অ্যাবরোড’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত চৌদ্দগ্রামে শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪নং ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা কুমিল্লায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণ, প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার

জামায়াত-বিএনপি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে আ’লীগের দোসর আনিসুর রহমান

  • তারিখ : ০৪:০৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • 80

স্টাফ রিপোর্টার।।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার রাগদৈল গ্রামের আনিছুর রহমান আখন্দ বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সুবিধা নিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে গেলেও পালিয়ে যাননি আনিছুর। বরং তিনি এখন জামায়াত বিএনপির বড় নেতা সেজে আবারও চাদাঁবাজিসহ শুরু করেছে নানান অপকর্ম। তার বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ।

সরেজমিনে তার এক সময়ের ব্যবসায়ীক স্থান গৌরিপুরের আনিছ মার্কেট সহ আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনিছ তাদের কাছে রীতিমত একটা আংতকের নাম।

একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ আনিছ বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার ভাগিনা জিএম আতিক যিনি একাধারে ঢাকা শাহাবাগ থানার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন, তার নাম ভাঙ্গিয়ে এমন কোন অপকর্ম নাই যে তিনি করেননি।

তিনি তখন গৌরিপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিতেন। এসব টাকা ফেরত চাইলেই তিনি তার ভাগিনা জিএম আতিক কে দিয়ে তাদের হুমকি দিতেন। কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতেন। এরপরও যদি কেউ চুপ না হতো তাহলে তাদের তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে মারধর করে উল্টো তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। এরকম একাধিক ঘটনা রয়েছে। এই আনিস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে ফোনেও হুমকি প্রদান করেন।

তিনি তৎকালিন সময়ে ভাগিনা জিএম আতিকের প্রভাব খাটিয়ে একাধিক ব্যাক্তিকে হুমকি প্রদান করেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও যেতে পারেন । অনেক ক্ষমতা তার। সে আনিছুর রহমান গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগ পালিয়ে গেলে তিনি বোল পাল্টে হয়ে যান জামাত বিএনপির বড় নেতা। যেখানে যে পরিচয় দিলে কাজ হবে সেখানে সেই পরিচয় দেন। তিনি তার পুরনো রাস্তায় আবার হাটা শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে আনিছুর রহমান আখন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি যাদের কাছে টাকা চেয়েছি তাদের কাছে আমি টাকা পাই। আমি কোন চাঁদা দাবী করিনি। পাওনা টাকার বিষয়ে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে আপনি যে টাকা পান তার পক্ষে আপনার কাছে কোন কাগজপত্র আছে কিনা। তখন তিনি তার উত্তর না দিয়ে কলটি কেটে দেন।

error: Content is protected !!

জামায়াত-বিএনপি পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে আ’লীগের দোসর আনিসুর রহমান

তারিখ : ০৪:০৭:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার রাগদৈল গ্রামের আনিছুর রহমান আখন্দ বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সুবিধা নিত। গত বছরের ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে গেলেও পালিয়ে যাননি আনিছুর। বরং তিনি এখন জামায়াত বিএনপির বড় নেতা সেজে আবারও চাদাঁবাজিসহ শুরু করেছে নানান অপকর্ম। তার বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে ।

সরেজমিনে তার এক সময়ের ব্যবসায়ীক স্থান গৌরিপুরের আনিছ মার্কেট সহ আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনিছ তাদের কাছে রীতিমত একটা আংতকের নাম।

একাধিক ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ আনিছ বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার ভাগিনা জিএম আতিক যিনি একাধারে ঢাকা শাহাবাগ থানার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন, তার নাম ভাঙ্গিয়ে এমন কোন অপকর্ম নাই যে তিনি করেননি।

তিনি তখন গৌরিপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে মোটা অংকের টাকা নিতেন। এসব টাকা ফেরত চাইলেই তিনি তার ভাগিনা জিএম আতিক কে দিয়ে তাদের হুমকি দিতেন। কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতেন। এরপরও যদি কেউ চুপ না হতো তাহলে তাদের তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে মারধর করে উল্টো তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। এরকম একাধিক ঘটনা রয়েছে। এই আনিস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে ফোনেও হুমকি প্রদান করেন।

তিনি তৎকালিন সময়ে ভাগিনা জিএম আতিকের প্রভাব খাটিয়ে একাধিক ব্যাক্তিকে হুমকি প্রদান করেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও যেতে পারেন । অনেক ক্ষমতা তার। সে আনিছুর রহমান গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামীলীগ পালিয়ে গেলে তিনি বোল পাল্টে হয়ে যান জামাত বিএনপির বড় নেতা। যেখানে যে পরিচয় দিলে কাজ হবে সেখানে সেই পরিচয় দেন। তিনি তার পুরনো রাস্তায় আবার হাটা শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে আনিছুর রহমান আখন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি যাদের কাছে টাকা চেয়েছি তাদের কাছে আমি টাকা পাই। আমি কোন চাঁদা দাবী করিনি। পাওনা টাকার বিষয়ে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় যে আপনি যে টাকা পান তার পক্ষে আপনার কাছে কোন কাগজপত্র আছে কিনা। তখন তিনি তার উত্তর না দিয়ে কলটি কেটে দেন।