১১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল ডাঃ তাহেরের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ মুরাদনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা ও মাদকসেবির কারাদণ্ড কুমিল্লায় ওয়াই-ব্রিজে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রবাস ফেরত যুবকের মৃত্যু বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত দেবিদ্বারে হাসপাতাল ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে মালিক সমিতির মানববন্ধন বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ যুবক আটক বেগম জিয়ার আরোগ্য কামনায় কুমিল্লায় টানা ১২ দিন কুরআন খতম ও দোয়া কুবিতে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনের অ্যাবস্ট্রাক্ট জমাদানের সময়সীমা বৃদ্ধি

ইতালি প্রবাসীর শিশু কন্যাকে নিয়ে পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে স্ত্রী; সন্তানকে ফিরে পেতে বাবার আকুতি

  • তারিখ : ১০:১৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 69

স্টাফ রিপোর্টার।।
ইতালি প্রবাসী এক যুবকের ৫ বছর বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা, প্রবাস জীবনে অর্জিত টাকা-পয়সা ও গহনা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে পপি নামে এক নারী।

এদিকে একমাত্র শিশুসন্তান ও কষ্টে অর্জিত টাকা-পয়সা হারিয়ে পাগল অবস্থায় প্রবাসী যুবক কামরুল হাসান। সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে ইতালি প্রবাসী কামরুল হাসান ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে বুড়িচং সদর এলাকার পূর্বপাড়া থানার উত্তর পাশে বাড়ির মৃত শাহ আলমের মেয়ে পাপিয়া সুলতানা পপিকে বিয়ে করে।

বিয়ের দু’বছর পর কামরুল হাসান তার স্ত্রী পপিকে ইতালি নিয়ে যায় এবং ইতালির নাগরিকত্ব পেতে সকল কাগজপত্র সম্পন্ন করে। এর কিছুদিন পরই তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়।

পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পপি ইতালিতে বাংলাদেশী এক যুবকের সাথে পরকীয়া লিপ্ত হয়। বেশ কিছুদিন পর কামরুল স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি বুঝতে পারে। এ নিয়ে কামরুল তার স্ত্রীকে নিষেধ করলেও সেই গোপনে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে।

সবশেষে পপি স্বামীর অর্জিত টাকা-পয়সা, গহনা ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে ইতালীতে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়।

পরে কামরুল তার স্ত্রী-কন্যা সন্তানকে ইতালিতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইতালিতেই একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে কামরুল বাংলাদেশে এসে স্ত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু স্ত্রীর পরিবার মেয়ের খবর না দিয়ে উল্টো কামরুলের সাথে খারাপ আচরণ করে। এরপর কামরুল কাজী অফিসের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় ইতালিতে ফিরে যায় এবং সেখানে বিভিন্ন স্থানে তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে জানতে পারে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ্বর গ্রামে হৃদয় হাসান নামে এক যুবকের কাছে আছে তার স্ত্রী ও সন্তান।

এই ঘটনায় কামরুলের বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে পাপিয়া সুলতানা পপি ও তার মা ফরিদা ইয়াসমিন কে অভিযুক্ত করে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী নাজমুল হাসান জানান, তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পলাতক পাপিয়া সুলতানা পপির চাচা শাজাহান কিছুদিন পূর্বেও সামান্য বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়। তিনি বলেন, যে নারীর চাচা একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছেন এই পরিবারের কাছে আমাদের সন্তান মোটেও নিরাপদ না।

তিনি তার ভাইয়ের একমাত্র কন্যা সন্তান ও লুট করে নেয়া স্বর্ণালংকার এবং টাকা পয়সা ফেরত পাওয়ার দাবি জানান।

error: Content is protected !!

ইতালি প্রবাসীর শিশু কন্যাকে নিয়ে পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে স্ত্রী; সন্তানকে ফিরে পেতে বাবার আকুতি

তারিখ : ১০:১৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার।।
ইতালি প্রবাসী এক যুবকের ৫ বছর বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা, প্রবাস জীবনে অর্জিত টাকা-পয়সা ও গহনা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে পপি নামে এক নারী।

এদিকে একমাত্র শিশুসন্তান ও কষ্টে অর্জিত টাকা-পয়সা হারিয়ে পাগল অবস্থায় প্রবাসী যুবক কামরুল হাসান। সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার চড়ানল গ্রামের মনিরুল হকের ছেলে ইতালি প্রবাসী কামরুল হাসান ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে বুড়িচং সদর এলাকার পূর্বপাড়া থানার উত্তর পাশে বাড়ির মৃত শাহ আলমের মেয়ে পাপিয়া সুলতানা পপিকে বিয়ে করে।

বিয়ের দু’বছর পর কামরুল হাসান তার স্ত্রী পপিকে ইতালি নিয়ে যায় এবং ইতালির নাগরিকত্ব পেতে সকল কাগজপত্র সম্পন্ন করে। এর কিছুদিন পরই তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়।

পরবর্তীতে ধীরে ধীরে পপি ইতালিতে বাংলাদেশী এক যুবকের সাথে পরকীয়া লিপ্ত হয়। বেশ কিছুদিন পর কামরুল স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি বুঝতে পারে। এ নিয়ে কামরুল তার স্ত্রীকে নিষেধ করলেও সেই গোপনে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে।

সবশেষে পপি স্বামীর অর্জিত টাকা-পয়সা, গহনা ও কন্যা সন্তানকে নিয়ে ইতালীতে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়।

পরে কামরুল তার স্ত্রী-কন্যা সন্তানকে ইতালিতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ইতালিতেই একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে কামরুল বাংলাদেশে এসে স্ত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু স্ত্রীর পরিবার মেয়ের খবর না দিয়ে উল্টো কামরুলের সাথে খারাপ আচরণ করে। এরপর কামরুল কাজী অফিসের মাধ্যমে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে তালাক দিয়ে পুনরায় ইতালিতে ফিরে যায় এবং সেখানে বিভিন্ন স্থানে তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে জানতে পারে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার সুরেশ্বর গ্রামে হৃদয় হাসান নামে এক যুবকের কাছে আছে তার স্ত্রী ও সন্তান।

এই ঘটনায় কামরুলের বড় ভাই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে পাপিয়া সুলতানা পপি ও তার মা ফরিদা ইয়াসমিন কে অভিযুক্ত করে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী নাজমুল হাসান জানান, তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পলাতক পাপিয়া সুলতানা পপির চাচা শাজাহান কিছুদিন পূর্বেও সামান্য বালি ফেলাকে কেন্দ্র করে একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়। তিনি বলেন, যে নারীর চাচা একটি শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছেন এই পরিবারের কাছে আমাদের সন্তান মোটেও নিরাপদ না।

তিনি তার ভাইয়ের একমাত্র কন্যা সন্তান ও লুট করে নেয়া স্বর্ণালংকার এবং টাকা পয়সা ফেরত পাওয়ার দাবি জানান।