নিউজ ডেস্ক।।
দেশে ভোজ্যেতেলের মোট চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করে সয়াবিন। যার অর্ধেক বিক্রি হয় বোতলজাত অবস্থায়। বাকি অর্ধেক খোলাভাবে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) থেকে বাজারে মিলবে না খোলা সয়াবিন তেল। সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকরে মাঠে থাকবে ভোক্তা অধিদপ্তর।
ভেজাল, ওজনে কম দেয়াসহ নানা কারণে এ তেল বিক্রি বন্ধ বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। তবে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে বাজার অস্থিশীল করতে না পারে, সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ ক্যাবের।
১ আগস্ট থেকে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, ভেজাল প্রতিরোধ ও পুষ্টিমান বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, খোলা অবস্থায় বিক্রির সুযোগ থাকলে অনেক সময় দেখা যায় সয়াবিন বলে অসাদু বিক্রেতারা পাম তেল বিক্রি করে। যার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর তাই আমরা খোলা অবস্থায় বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের বিক্রি বন্ধের উদ্যোগকে সঠিক বলেই মনে করে ক্যাব। তবে এই সুযোগে অস্থিরতা যাতে না বাড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর বলেন, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করলে যারা ২০০/২৫০ গ্রাম করে কিনে, তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, এ ভোক্তাদের জন্য বাজারে ২৫০/৫০০ গ্রামের প্যাকেট সহজলভ্য করার। পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, ভোক্তা পর্যায়ে যাতে যৌক্তিক মূল্যে এ পণ্য পৌঁছায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এর অংশ হিসেবে বাজার মনিটরিং, অভিযান, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করছি। আমরা প্রতিটি সেক্টর নিয়ে বসে আলোচনা করছি। যদিও আমদের পর্যাপ্ত লোকবল নাই, তবুও আমরা সামর্থ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
খোলা তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত কার্যকরের কথা ছিল চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে। তবে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতায় তা পিছিয়ে দেয়া হয়।