মনোয়ার হোসেন।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যাত্রাপুর-পারুয়ারা দুই দশমিক তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে গত নভেম্বর মাসে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি দুদকের নজরে আসলে তারা তদন্ত নামে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক তারেকুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম সড়কটি পরিদর্শন করে।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কাশিনগর ইউনিয়নের যাত্রাপুর থেকে শ্রীপুর ইউনিয়নের পারুয়ারা পর্যন্ত ২৩০০ মিটার সড়ক পুণনির্মাণ করার জন্য ১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮১৯ টাকা চুক্তিতে টেন্ডার পায় মুন্সিরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন পাটোয়ারীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ। সড়কের নির্মাণ কাজ গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ আগস্ট শেষ হওয়ার নিয়ম ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করলেও দীর্ঘ ৫ মাস কাজ বন্ধ রাখে। গত ৫ আগস্টের আগে এলাকাবাসী ঠিকাদার সুমন পাটোয়ারীকে জানালেও তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোন কিছুর তোয়াক্কা করেনি। সরকার পতনের পর সড়কের পাশের গ্রামগুলোর ছাত্র-জনতা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার সুমন পাটোয়ারী কাজ বন্ধ রেখে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিছুদিন পর তিনি চিহ্নিত কয়েকজন নেতাকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ওই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী অনিয়মের প্রতিবাদ করে। ওই সময় সড়কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর সুমন পাটোয়ারী কালভার্টের ভাঙা কিছু পুরানো ইট ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছিলেন। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ দুদকের নজরে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক তারেকুর রহমান বলেন, আমরা দুই দশমিক তিন কিলোমিটার সড়ক পরিদর্শন করেছি। পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবো। পরবর্তীতে কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো’।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ‘নিম্নমানের কাজের অভিযোগে দুদকের একটি টিম। যাত্রাপুর-পারুয়ারা সড়ক পরিদর্শন করেছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে’।
কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। অফিসের কাজে বাইরে আছি, ফাইল দেখে বিস্তারিত জানাবো’।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page