০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে পোড়া তেলে শিশু খাদ্য তৈরি, ১ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লায় কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা ২০২৬ সালে নতুন ক্যাম্পাসে উদ্বোধন হবে ৪টি হল ও ৪টি অ্যাকাডেমিক ভবন: কুবি উপাচার্য মনোহরগঞ্জে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব, আতঙ্কিত পথচারীরা ও স্কুলগামীরা দাউদকান্দিতে যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান কুমিল্লায় মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই: ১৯টি গরু ও ২ লাখ টাকা লুট গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা অতুলনীয় -ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভণ্ড রাজারবাগের আস্তানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

উগ্রবাদী ও লেবাসধারীদের হাতে এদেশের ইসলাম কখনো নিরাপদ নয়ঃ ইনকিলাব সম্পাদক

  • তারিখ : ০৫:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 9

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন দৃঢ় কন্ঠে বলেছেন, উগ্রবাদী ও লেবাসধারীদের হাতে এদেশের ইসলাম কখনো নিরাপদ নয়। যারা ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে তারা কখনো ইসলামী মূল্যবোধের রাস্ট্র, সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে না। ইসলামী চিন্তা-চেতনা লালন করা দলের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ ও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠবে। সামনে নির্বাচন, আমাদেরকে বুঝেশুনে এগুতে হবে। আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আবেগ নয়, বাস্তববাদী হতে হবে।

বুধবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে সোনাকান্দা দারুল হদা দরবার শরীফের বার্ষিক ওয়াজ ও ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের প্রথমদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন দরবারের গদ্দীনশীন পীর ও বাংলাদেশ তা’লিমে হিযবুল্লাহ’র আমীর শাহসূফি মাওলানা মাহমুদুর রহমান।

ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার ওজি পর গুরুত্বারোপ করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, ইসলামী সমাজ গড়ার কারিগর হচ্ছেন আল্লাহর অলীরা। মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রাস্ট্র প্রধানরা আল্লাহর অলী ছিলেন না, কিন্তু আল্লাহর অলীরাই নেপথ্যে বা পেছনে থেকে সেখানকায় শক্তিশালী ইসলামী রাস্ট্র গঠনে ভূমিকা রেখেছেন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অনেক বেশি শক্তিশালী রাস্ট্র হবে। এই রাস্ট্রের যে ভিত্তিটা এটা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় গড়ে ওঠবে। এই ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল থাকবে কী থাকবে না, এটা নির্ভর করবে আমাদের দেশের হাক্কানী দরবারসহ যারা ইসলামের খেদমতে কাজ করছেন তাদের ভূমিকার ওপর। মোট কথা, ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ গড়ে তোলা ও তা রক্ষায় আলেম সমাজের বিকল্প নেই। আমাদের আলেমরাই ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন রাস্ট্র গঠনে সামনের সারির যোদ্ধা।

ইসলামের ইতিহাসে ‘ওলি-আওলিয়া’ ব্যাপক মর্যাদা ও সম্মানের স্থান দখল করে আছে উল্লেখ করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, ইসলামের মহান বাণী নিয়ে এ দেশে অসংখ্য আল্লাহর ওলি আগমন করেছিলেন। হজরত শাহজালাল ইয়ামেনি (রহ.), হজরত শাহপরান, খানজাহান আলী (রহ.) সহ আরও বিশ্ববিখ্যাত অনেক ওলি রয়েছেন যাদের খেদমতের বদৌলতে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে এবং মুসলমান রাস্ট্র হিসেবেও তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। এইদেশে ১৮ কোটি মুসলমানের বসবাস। ইসলামী সমাজ, ইসলামী রাস্ট্র ব্যবস্থার দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে আলেম সমাজের অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের দেশে অনেক দরবার রয়েছে যারা ইসলামের খেদমতে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ইনকিলাব সম্পাদক আগামী নির্বাচন নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আমি সাংবাদিকতা করি, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি নির্বাচন নিয়ে যে যতো নাটক করুক, কোন নাটকে কাজ হবে না। ইসলামের জন্য কাজ করবে, দেশের আলেম সমাজকে প্রধান্য দেবে এমন একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে সুনিশ্চিতভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ক্ষমতায় আসবে, ইনশাআল্লাহ।
এসময় তিনি মুরাদনগরের সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদকে মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার একজন অগ্রগণ্য ভূমিকার নেতা উল্লেখ করে বলেন, কায়কোবাদ সাহেব একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। সামাজিক ও মানবিক কাজে এই মানুষটির ভূমিকা নি:সন্দেহে প্রসংশনীয়। ইসলামের কাজে, দ্বীনের খেদমতে কায়কোবাদ সাহেব ও তার পরিবার দীর্ঘসময় ধরে নিয়োজিত রয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষ তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন করলে তিনি আগামীতে এমপি হবেন, এমনকি মন্ত্রীও হবেন।

সম্পদ রাস্ট্রকে উন্নত করতে পারে, আবার গরিবও করে দিতে পারে উল্লেখ করে আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, বিশ্বের অনেক রাস্ট্র আছে; মেক্সিকো, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিার অনেক দেশ আছে যেখানে অনেক সম্পদ আছে কিন্তু সেই সম্পদ সেখানকার জনগোষ্ঠীর কোন কাজে আসছে না, সেই সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে পারছে না তারা। কাজেই আমাদের যে সম্পদ আছে সেই সম্পদের সুষম ও সঠিক ব্যবহার আমাদেরই করতে হবে। সম্পদ হচ্ছে আল্লাহর নিয়ামত।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যা কিন্তু বাড়ছে। আবার আমাদের সম্পদের কিন্তু কমতি নেই। এই বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে বিশাল ভূমি জেগে উঠছে, আরেকটি বাংলাদেশ জেগে উঠছে এবং এর নিচে লাখ লাখ কোটি টাকার খনিজসম্পদ রয়েছে। আমাদের জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি আল্লাহ তাআলা আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের এখানে বরকত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমাদের সম্পদের অভাব হবে না।

এদেশের মুসলমানরা কোন কিছুতেই ভীত সন্ত্রস্ত নয় উল্লেখ করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, এদেশের মুসলমানরা একটি স্লোগানে বিশ্বাসী। আর এটি হচ্ছে ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহ আকবার’- এই স্লোগান আমাদের সেনাবাহিনীর শক্তি, আমাদের বর্ডার গার্ডের শক্তি। এই স্লোগান বন্দুকের নলকে ভয় করে না।

তিনি বলেন, আজকের তরুণরাই আগামীদিনে আমাদের ইসলামিক চেতনা। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এই তরুণরাই এদেশের শাসন ব্যবস্থায় ভারতীয়দের সুদূর প্রসারী যে হস্তক্ষেপ ও চক্রান্ত থাকতো সেটি ভুন্ডল করে দিয়েছে। এই তরুণরাই জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ৫৪ বছরের ভারতীয় গোলামী থেকে এদেশকে মুক্ত করেছে।

এর আগে মাহফিলের সভাপতি সোনাকান্দা দরবারের পীর শাহসূফি মাওলানা মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদককে সময়ের বিদগ্ধ ও সাহসী সম্পাদক উল্লেখ করে বলেন, তার দিক নির্দেশনায় দেশ ও জনগণের পক্ষে অনন্য ভূমিকা রাখছে ইনকিলাব। ইসলামের ব্যাপারে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিচল ও আপসহীন। তার নেতৃত্বে আজকে মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারিদের জীবন মান উন্নয়নে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

error: Content is protected !!

উগ্রবাদী ও লেবাসধারীদের হাতে এদেশের ইসলাম কখনো নিরাপদ নয়ঃ ইনকিলাব সম্পাদক

তারিখ : ০৫:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন দৃঢ় কন্ঠে বলেছেন, উগ্রবাদী ও লেবাসধারীদের হাতে এদেশের ইসলাম কখনো নিরাপদ নয়। যারা ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে তারা কখনো ইসলামী মূল্যবোধের রাস্ট্র, সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে না। ইসলামী চিন্তা-চেতনা লালন করা দলের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ নিরাপদ ও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠবে। সামনে নির্বাচন, আমাদেরকে বুঝেশুনে এগুতে হবে। আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আবেগ নয়, বাস্তববাদী হতে হবে।

বুধবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগরে সোনাকান্দা দারুল হদা দরবার শরীফের বার্ষিক ওয়াজ ও ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের প্রথমদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন দরবারের গদ্দীনশীন পীর ও বাংলাদেশ তা’লিমে হিযবুল্লাহ’র আমীর শাহসূফি মাওলানা মাহমুদুর রহমান।

ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার ওজি পর গুরুত্বারোপ করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, ইসলামী সমাজ গড়ার কারিগর হচ্ছেন আল্লাহর অলীরা। মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রাস্ট্র প্রধানরা আল্লাহর অলী ছিলেন না, কিন্তু আল্লাহর অলীরাই নেপথ্যে বা পেছনে থেকে সেখানকায় শক্তিশালী ইসলামী রাস্ট্র গঠনে ভূমিকা রেখেছেন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অনেক বেশি শক্তিশালী রাস্ট্র হবে। এই রাস্ট্রের যে ভিত্তিটা এটা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় গড়ে ওঠবে। এই ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ ব্যবস্থা সুশৃঙ্খল থাকবে কী থাকবে না, এটা নির্ভর করবে আমাদের দেশের হাক্কানী দরবারসহ যারা ইসলামের খেদমতে কাজ করছেন তাদের ভূমিকার ওপর। মোট কথা, ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ গড়ে তোলা ও তা রক্ষায় আলেম সমাজের বিকল্প নেই। আমাদের আলেমরাই ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন রাস্ট্র গঠনে সামনের সারির যোদ্ধা।

ইসলামের ইতিহাসে ‘ওলি-আওলিয়া’ ব্যাপক মর্যাদা ও সম্মানের স্থান দখল করে আছে উল্লেখ করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, ইসলামের মহান বাণী নিয়ে এ দেশে অসংখ্য আল্লাহর ওলি আগমন করেছিলেন। হজরত শাহজালাল ইয়ামেনি (রহ.), হজরত শাহপরান, খানজাহান আলী (রহ.) সহ আরও বিশ্ববিখ্যাত অনেক ওলি রয়েছেন যাদের খেদমতের বদৌলতে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে জনসংখ্যার দিক থেকে এবং মুসলমান রাস্ট্র হিসেবেও তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। এইদেশে ১৮ কোটি মুসলমানের বসবাস। ইসলামী সমাজ, ইসলামী রাস্ট্র ব্যবস্থার দিকে দেশকে এগিয়ে নিতে আলেম সমাজের অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের দেশে অনেক দরবার রয়েছে যারা ইসলামের খেদমতে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ইনকিলাব সম্পাদক আগামী নির্বাচন নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আমি সাংবাদিকতা করি, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি নির্বাচন নিয়ে যে যতো নাটক করুক, কোন নাটকে কাজ হবে না। ইসলামের জন্য কাজ করবে, দেশের আলেম সমাজকে প্রধান্য দেবে এমন একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে সুনিশ্চিতভাবে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ক্ষমতায় আসবে, ইনশাআল্লাহ।
এসময় তিনি মুরাদনগরের সাবেক এমপি শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদকে মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার একজন অগ্রগণ্য ভূমিকার নেতা উল্লেখ করে বলেন, কায়কোবাদ সাহেব একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। সামাজিক ও মানবিক কাজে এই মানুষটির ভূমিকা নি:সন্দেহে প্রসংশনীয়। ইসলামের কাজে, দ্বীনের খেদমতে কায়কোবাদ সাহেব ও তার পরিবার দীর্ঘসময় ধরে নিয়োজিত রয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষ তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন করলে তিনি আগামীতে এমপি হবেন, এমনকি মন্ত্রীও হবেন।

সম্পদ রাস্ট্রকে উন্নত করতে পারে, আবার গরিবও করে দিতে পারে উল্লেখ করে আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, বিশ্বের অনেক রাস্ট্র আছে; মেক্সিকো, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিার অনেক দেশ আছে যেখানে অনেক সম্পদ আছে কিন্তু সেই সম্পদ সেখানকার জনগোষ্ঠীর কোন কাজে আসছে না, সেই সম্পদের সঠিক ব্যবহার করতে পারছে না তারা। কাজেই আমাদের যে সম্পদ আছে সেই সম্পদের সুষম ও সঠিক ব্যবহার আমাদেরই করতে হবে। সম্পদ হচ্ছে আল্লাহর নিয়ামত।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের দেশে জনসংখ্যা কিন্তু বাড়ছে। আবার আমাদের সম্পদের কিন্তু কমতি নেই। এই বাংলাদেশে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে বিশাল ভূমি জেগে উঠছে, আরেকটি বাংলাদেশ জেগে উঠছে এবং এর নিচে লাখ লাখ কোটি টাকার খনিজসম্পদ রয়েছে। আমাদের জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি আল্লাহ তাআলা আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। আল্লাহ তাআলা আমাদের এখানে বরকত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমাদের সম্পদের অভাব হবে না।

এদেশের মুসলমানরা কোন কিছুতেই ভীত সন্ত্রস্ত নয় উল্লেখ করে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, এদেশের মুসলমানরা একটি স্লোগানে বিশ্বাসী। আর এটি হচ্ছে ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহ আকবার’- এই স্লোগান আমাদের সেনাবাহিনীর শক্তি, আমাদের বর্ডার গার্ডের শক্তি। এই স্লোগান বন্দুকের নলকে ভয় করে না।

তিনি বলেন, আজকের তরুণরাই আগামীদিনে আমাদের ইসলামিক চেতনা। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে এই তরুণরাই এদেশের শাসন ব্যবস্থায় ভারতীয়দের সুদূর প্রসারী যে হস্তক্ষেপ ও চক্রান্ত থাকতো সেটি ভুন্ডল করে দিয়েছে। এই তরুণরাই জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ৫৪ বছরের ভারতীয় গোলামী থেকে এদেশকে মুক্ত করেছে।

এর আগে মাহফিলের সভাপতি সোনাকান্দা দরবারের পীর শাহসূফি মাওলানা মাহমুদুর রহমান তার বক্তব্যে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদককে সময়ের বিদগ্ধ ও সাহসী সম্পাদক উল্লেখ করে বলেন, তার দিক নির্দেশনায় দেশ ও জনগণের পক্ষে অনন্য ভূমিকা রাখছে ইনকিলাব। ইসলামের ব্যাপারে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিচল ও আপসহীন। তার নেতৃত্বে আজকে মাদরাসা শিক্ষক কর্মচারিদের জীবন মান উন্নয়নে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।