০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও গণজুতা নিক্ষেপ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি উন্মুক্তের দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্র তুহিন হত্যার এক আসামি গ্রেফতার প্রাকৃতিক গ্যাসের উপজেলা মুরাদনগর: ১০ ভাগ পরিবারেরই নেই গ্যাস সংযোগ আন্তর্জাতিক নির্যাতিত সাংবাদিক দিবসে কুমিল্লায় নির্যাতিত সাংবাদিকদের সম্মাননা কুমিল্লায় বিয়ের এক মাস না যেতেই লরির নিচে পিষ্ট হয়ে প্রবাসীর মৃত্যু আবাসিক সংকট চরমে, বাধ্য হয়ে মেসে থাকছেন কুবি শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় ‘কুমিল্লা মেট্রো রানার্স’ এর টি-শার্ট ও লোগু উম্মোচন বাসে কুবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, মুচলেকা দিয়ে জব্দ বাস ফেরত নিল মালিকপক্ষ সিদলাই শাহজালাল মোল্লা কারিগরি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

কুমিল্লায় বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়ে চাচাতো ২ বোনের মৃত্যু

  • তারিখ : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • 51

তিতাস প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে চাচাতো দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার উপজেলার বাঘাইরামপুর-দুইখারকান্দি গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুই শিশুর নাম আয়েশা (৮) ও সামিয়া (১০)। আয়েশা উপজেলার বাঘাইরামপুর গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে ও সামিয়া একই গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে। তারা উপজেলার নয়াকান্দি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে ডুবন্ত সড়ক পাড়ি দিতে গিয়ে তারা ভেসে যায়।

স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে গ্রামের মাঠ থেকে দুই ঘণ্টা পর সামিয়াকে ও তিন ঘণ্টা পর আয়েশাকে উদ্ধার করেন। পরে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া দুই বোনের চাচি ঝরনা আক্তার জানান, আয়েশা-সামিয়াসহ চার চাচাতো বোন নয়াকান্দি মাদ্রাসায় পড়ত। আজ সকাল ১০টায় চার শিশুকে একসঙ্গে অভিভাবকেরা মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। মাদ্রাসা ছুটির পর অভিভাবকদের আবার নিয়ে আসার কথা। কিন্তু এক ঘণ্টা পাঠদানের পর শিক্ষকেরা মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দেন। তখন চার শিশু অভিভাবক ছাড়া একাই বাড়িতে রওনা দেয়। উপজেলার বাঘাইরামপুর-দুইখারকান্দি গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে একটি ডুবন্ত সড়কের কাছে পৌঁছালে বাঘাইরামপুর গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দেখা হয়। তিনি চারজনের মধ্যে আয়েশা ও সামিয়াকে অপেক্ষা করতে বলে দুজনকে কাঁধে নিয়ে ডুবন্ত সড়ক পার করে দেন। কিন্তু আয়েশা ও সামিয়া অপেক্ষা না করে একা একা আসার চেষ্টা করলে বন্যার স্রোতের ভেসে যায়।

বাঘাইরামপুর গ্রামের মো. ফারুক বলেন, আপন চার ভাইয়ের মধ্যে আয়েশার বাবা মনির মালদ্বীপপ্রবাসী ও সামিয়ার বাবা মুক্তার এলাকায় রাজমিস্ত্রি কাজ করেন। মনির ছুটি কাটিয়ে গত শুক্রবার মালদ্বীপে যান।

মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে আয়েশার মা সারাক্ষণ বিলাপ করছেন। তিনি বলেন, দুই শিশু ডোবার সময় ওই স্থানে গ্রামের লোকজন ছিলেন। ইচ্ছা করে আয়েশা-সামিয়াকে কেউ বাঁচাননি। তাঁদের বিচার আল্লাহ করবেন। আয়েশার বাবা কাল সোমবার দেশে ফিরছেন।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় বন্যার পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়ে চাচাতো ২ বোনের মৃত্যু

তারিখ : ১০:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

তিতাস প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে চাচাতো দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার উপজেলার বাঘাইরামপুর-দুইখারকান্দি গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুই শিশুর নাম আয়েশা (৮) ও সামিয়া (১০)। আয়েশা উপজেলার বাঘাইরামপুর গ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে ও সামিয়া একই গ্রামের মুক্তার হোসেনের মেয়ে। তারা উপজেলার নয়াকান্দি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। মাদ্রাসা থেকে ফেরার পথে ডুবন্ত সড়ক পাড়ি দিতে গিয়ে তারা ভেসে যায়।

স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে গ্রামের মাঠ থেকে দুই ঘণ্টা পর সামিয়াকে ও তিন ঘণ্টা পর আয়েশাকে উদ্ধার করেন। পরে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া দুই বোনের চাচি ঝরনা আক্তার জানান, আয়েশা-সামিয়াসহ চার চাচাতো বোন নয়াকান্দি মাদ্রাসায় পড়ত। আজ সকাল ১০টায় চার শিশুকে একসঙ্গে অভিভাবকেরা মাদ্রাসায় দিয়ে আসেন। মাদ্রাসা ছুটির পর অভিভাবকদের আবার নিয়ে আসার কথা। কিন্তু এক ঘণ্টা পাঠদানের পর শিক্ষকেরা মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে দেন। তখন চার শিশু অভিভাবক ছাড়া একাই বাড়িতে রওনা দেয়। উপজেলার বাঘাইরামপুর-দুইখারকান্দি গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে একটি ডুবন্ত সড়কের কাছে পৌঁছালে বাঘাইরামপুর গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের দেখা হয়। তিনি চারজনের মধ্যে আয়েশা ও সামিয়াকে অপেক্ষা করতে বলে দুজনকে কাঁধে নিয়ে ডুবন্ত সড়ক পার করে দেন। কিন্তু আয়েশা ও সামিয়া অপেক্ষা না করে একা একা আসার চেষ্টা করলে বন্যার স্রোতের ভেসে যায়।

বাঘাইরামপুর গ্রামের মো. ফারুক বলেন, আপন চার ভাইয়ের মধ্যে আয়েশার বাবা মনির মালদ্বীপপ্রবাসী ও সামিয়ার বাবা মুক্তার এলাকায় রাজমিস্ত্রি কাজ করেন। মনির ছুটি কাটিয়ে গত শুক্রবার মালদ্বীপে যান।

মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে আয়েশার মা সারাক্ষণ বিলাপ করছেন। তিনি বলেন, দুই শিশু ডোবার সময় ওই স্থানে গ্রামের লোকজন ছিলেন। ইচ্ছা করে আয়েশা-সামিয়াকে কেউ বাঁচাননি। তাঁদের বিচার আল্লাহ করবেন। আয়েশার বাবা কাল সোমবার দেশে ফিরছেন।