১০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দেবিদ্বারে লকডাউন কর্মসূচির প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ কুমিল্লায় মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা হাজী ইয়াছিনের পক্ষে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি; ১১তম দিনে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান বুড়িচংয়ে কোরপাই থেকে নাজিরা বাজার পর্যন্ত টহল-চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী চৌদ্দগ্রামে কামরুল হুদার পক্ষে ঘোলপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের লিফলেট বিতরণ

চৌদ্দগ্রামে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমের জীবনের করুণ কাহিনী, সাহায্যের আবেদন

  • তারিখ : ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • 67

মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
ছেনোয়ারা বেগম। স্বামী পরিত্যক্তা একজন বৃদ্ধা। তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধী। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারেন না। সম্পূর্ণ হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করেন। তার এক মেয়ে। রংপুরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। এক কথায়-স্বামী পরিত্যক্তা ছেনোয়ারা বেগমকে দেখার কেউ নেই। তার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে। থাকেন টিনসেডের ভাঙা একটি ঘরে। নেই জিনিসপত্র রাখার আলমিরাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। একটি চৌকি আছে, তাও আবার থাকার উপযুক্ত নয়। ওই ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগম হামাগুড়ি দিয়ে গোসলখানায় গিয়ে গোসল ও অযু করছেন। বেশির ভাগ সময় তিনি না খেয়ে থাকেন। দিনের পর দিন শুধু পানি পান করে বেঁচে আছেন। গলায় আধা কেজি ওজনের একটি টিউমার থাকায় তিনি ভাতও খেতে পারেন না। টিউমারটি চিকিৎসা করানোর সাধ্য নেই তার। পাশেই তার আপন ভাইয়ের ঘর থাকলেও কেউ খোঁজ রাখে না। মাঝে মধ্যে ‘ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপ’ নামের সামাজিক সংগঠন থেকে কিছু কিছু অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও সরকারিভাবে যে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয় তাও অপ্রতুল।

মুজিব বর্ষে সরকার গৃহহীনদের ঘর দিলেও ছেনোয়ারা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি একটি ঘর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুজিবুল হক এমপি একটু খোঁজ নিলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এদিকে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমকে সাহায্য করার জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাকে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য ০১৮৪২-০৬১৯৮৯ (বিকাশ) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মানবিক সমাজ সেবক গাজী রুবেল।

error: Content is protected !!

চৌদ্দগ্রামে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমের জীবনের করুণ কাহিনী, সাহায্যের আবেদন

তারিখ : ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
ছেনোয়ারা বেগম। স্বামী পরিত্যক্তা একজন বৃদ্ধা। তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধী। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারেন না। সম্পূর্ণ হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করেন। তার এক মেয়ে। রংপুরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। এক কথায়-স্বামী পরিত্যক্তা ছেনোয়ারা বেগমকে দেখার কেউ নেই। তার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে। থাকেন টিনসেডের ভাঙা একটি ঘরে। নেই জিনিসপত্র রাখার আলমিরাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। একটি চৌকি আছে, তাও আবার থাকার উপযুক্ত নয়। ওই ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগম হামাগুড়ি দিয়ে গোসলখানায় গিয়ে গোসল ও অযু করছেন। বেশির ভাগ সময় তিনি না খেয়ে থাকেন। দিনের পর দিন শুধু পানি পান করে বেঁচে আছেন। গলায় আধা কেজি ওজনের একটি টিউমার থাকায় তিনি ভাতও খেতে পারেন না। টিউমারটি চিকিৎসা করানোর সাধ্য নেই তার। পাশেই তার আপন ভাইয়ের ঘর থাকলেও কেউ খোঁজ রাখে না। মাঝে মধ্যে ‘ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপ’ নামের সামাজিক সংগঠন থেকে কিছু কিছু অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও সরকারিভাবে যে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয় তাও অপ্রতুল।

মুজিব বর্ষে সরকার গৃহহীনদের ঘর দিলেও ছেনোয়ারা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি একটি ঘর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুজিবুল হক এমপি একটু খোঁজ নিলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এদিকে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমকে সাহায্য করার জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাকে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য ০১৮৪২-০৬১৯৮৯ (বিকাশ) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মানবিক সমাজ সেবক গাজী রুবেল।