০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা নিজেদের স্বার্থে জনগণকে বঞ্চিত করে, তাদের বিএনপিতে ঠাঁই নেই -ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক শাহরাস্তিতে গণঅভ্যুত্থান দিবসের র‍্যালিতে অংশ নিতে এসে যুবদল নেতার মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিএনপি এক-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে জয় লাভ করবে: ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বুড়িচংয়ে মসজিদে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আসামী গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন দাউদকান্দিতে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়েত ইসলামীর গণমিছিল দাউদকান্দিতে শহীদদের সমাধিতে প্রশাসনের পুষ্পস্তবক অর্পণ গণঅভ্যুত্থান দিবসে বুড়িচংয়ে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত বৃষ্টি উপেক্ষা করে কুমিল্লায় হাজী ইয়াছিনের নেতৃত্বে বিএনপির বিজয় মিছিল “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি: গণ-অভ্যুত্থান দিবসে কুবি ভিসি”

চৌদ্দগ্রামে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমের জীবনের করুণ কাহিনী, সাহায্যের আবেদন

  • তারিখ : ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • 27

মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
ছেনোয়ারা বেগম। স্বামী পরিত্যক্তা একজন বৃদ্ধা। তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধী। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারেন না। সম্পূর্ণ হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করেন। তার এক মেয়ে। রংপুরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। এক কথায়-স্বামী পরিত্যক্তা ছেনোয়ারা বেগমকে দেখার কেউ নেই। তার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে। থাকেন টিনসেডের ভাঙা একটি ঘরে। নেই জিনিসপত্র রাখার আলমিরাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। একটি চৌকি আছে, তাও আবার থাকার উপযুক্ত নয়। ওই ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগম হামাগুড়ি দিয়ে গোসলখানায় গিয়ে গোসল ও অযু করছেন। বেশির ভাগ সময় তিনি না খেয়ে থাকেন। দিনের পর দিন শুধু পানি পান করে বেঁচে আছেন। গলায় আধা কেজি ওজনের একটি টিউমার থাকায় তিনি ভাতও খেতে পারেন না। টিউমারটি চিকিৎসা করানোর সাধ্য নেই তার। পাশেই তার আপন ভাইয়ের ঘর থাকলেও কেউ খোঁজ রাখে না। মাঝে মধ্যে ‘ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপ’ নামের সামাজিক সংগঠন থেকে কিছু কিছু অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও সরকারিভাবে যে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয় তাও অপ্রতুল।

মুজিব বর্ষে সরকার গৃহহীনদের ঘর দিলেও ছেনোয়ারা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি একটি ঘর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুজিবুল হক এমপি একটু খোঁজ নিলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এদিকে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমকে সাহায্য করার জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাকে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য ০১৮৪২-০৬১৯৮৯ (বিকাশ) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মানবিক সমাজ সেবক গাজী রুবেল।

চৌদ্দগ্রামে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমের জীবনের করুণ কাহিনী, সাহায্যের আবেদন

তারিখ : ০৭:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১

মনোয়ার হোসেন, চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি:
ছেনোয়ারা বেগম। স্বামী পরিত্যক্তা একজন বৃদ্ধা। তিনি শারিরীক প্রতিবন্ধী। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে-চলতে পারেন না। সম্পূর্ণ হামাগুড়ি দিয়ে চলাচল করেন। তার এক মেয়ে। রংপুরে স্বামীর বাড়িতে থাকেন। এক কথায়-স্বামী পরিত্যক্তা ছেনোয়ারা বেগমকে দেখার কেউ নেই। তার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে। থাকেন টিনসেডের ভাঙা একটি ঘরে। নেই জিনিসপত্র রাখার আলমিরাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। একটি চৌকি আছে, তাও আবার থাকার উপযুক্ত নয়। ওই ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগম হামাগুড়ি দিয়ে গোসলখানায় গিয়ে গোসল ও অযু করছেন। বেশির ভাগ সময় তিনি না খেয়ে থাকেন। দিনের পর দিন শুধু পানি পান করে বেঁচে আছেন। গলায় আধা কেজি ওজনের একটি টিউমার থাকায় তিনি ভাতও খেতে পারেন না। টিউমারটি চিকিৎসা করানোর সাধ্য নেই তার। পাশেই তার আপন ভাইয়ের ঘর থাকলেও কেউ খোঁজ রাখে না। মাঝে মধ্যে ‘ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপ’ নামের সামাজিক সংগঠন থেকে কিছু কিছু অনুদান দেয়া হয়। এছাড়াও সরকারিভাবে যে প্রতিবন্ধী ভাতা দেয়া হয় তাও অপ্রতুল।

মুজিব বর্ষে সরকার গৃহহীনদের ঘর দিলেও ছেনোয়ারা বেগমের ভাগ্যে জুটেনি একটি ঘর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেনোয়ারা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুজিবুল হক এমপি একটু খোঁজ নিলেই আমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এদিকে প্রতিবন্ধী ছেনোয়ারা বেগমকে সাহায্য করার জন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সহ সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাকে সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য ০১৮৪২-০৬১৯৮৯ (বিকাশ) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন ভালোবাসার দূর্গাপুর গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মানবিক সমাজ সেবক গাজী রুবেল।