০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩ কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিত্যক্ত মুরগির খামার থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার কুমিল্লায় স্কুল শেষে নদীতে গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ‎ব্রাহ্মণপাড়ায় মোটরসাইকেল ফেলে পালালেন দুই যুবক, ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার ‎ব্রাহ্মণপাড়া চান্দলায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

এস.আই সৈকতের সহযোগিতায় নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেল বাবা

  • তারিখ : ১২:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • 19

মুহাম্মদ রকিবুল হাসান (রনি)
গত বৃহস্পতিবার রাত ২ টা। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মোবাইল ডিউটি করাকালীন একটি ১১ বছরের ছোট ছেলেকে দেখতে পান ভাটারা থানার পুলিশ অফিসার এসআই সৈকত ।

বিষয়টি তার নজরে আসার পর তিনি ছেলেটির অভিভাবকের খোঁজ করেন। কিন্তু আশপাশে কোথাও অভিভাবকের দেখা মিলেনি। ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করে এসআই সৈকত জানতে পারেন, ছেলেটি নওগাঁ থেকে ঢাকায় চলে এসেছে। তার সঙ্গে আর কেউ নেই। এ পরিস্থিতিতে এসআই সৈকত রাতে থানায় নিয়ে যান।

থানায় নিয়ে আসার পর পরম যত্নে শিশুটির কাছে নাম-ঠিকানা জানতে চান তিনি। শিশুটি তখন জানায়,নাম তার ইদ্রিস আলী।

কিন্তু বাবা-মা কিংবা আত্মীয়স্বজনের কারো মোবাইল নম্বর জানে না সে। এ অবস্থায় শিশুটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হন ভাটারা থানার পুলিশ অফিসার এসআই সৈকত ।

মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তা মধ্যরাতেই বাবার নাম্বার সংগ্রহ করেন এবং ছেলেটির বাবাকে জানান, তার ছেলে ইদ্রিস আলী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তিনি যেন এসে ছেলেকে নিয়ে যান। ছেলের প্রাপ্তি সংবাদ বাবাকে জানানো ছাড়াও ছেলেটিকে নিজের হেফাজতে রেখে তার খাওয়া-দাওয়াসহ সার্বিক দেখাশোনাও করছেন এস আই সৈকত।

বিকাল ৪ঃ১০ নাগাদ ছেলেটার বাবা চট্টগ্রাম থেকে ভাটারা থানা এসে পৌছালো। বিকালে ভাটারা থানায় গিয়ে সন্তানকে কোলে তুলে নিলে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের। কান্না থামিয়ে বাবার কোলে ওঠে ইদ্রিস আলী হাসে স্বস্তির হাসি। ভাটারা থানার চৌকুস পুলিশ অফিসার এসআই সৈকত এর মহানুভবতা আর প্রচেষ্টায় এভাবে বাবা-মা আর স্বজনদের ফিরে পেয়েছে ছোট্ট শিশুটি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এসআই সৈকত জানান, ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, একটি ভালো কাজ করতে পেরেছি।

error: Content is protected !!

এস.আই সৈকতের সহযোগিতায় নিখোঁজ সন্তানকে ফিরে পেল বাবা

তারিখ : ১২:০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২

মুহাম্মদ রকিবুল হাসান (রনি)
গত বৃহস্পতিবার রাত ২ টা। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মোবাইল ডিউটি করাকালীন একটি ১১ বছরের ছোট ছেলেকে দেখতে পান ভাটারা থানার পুলিশ অফিসার এসআই সৈকত ।

বিষয়টি তার নজরে আসার পর তিনি ছেলেটির অভিভাবকের খোঁজ করেন। কিন্তু আশপাশে কোথাও অভিভাবকের দেখা মিলেনি। ছেলেটিকে জিজ্ঞাসা করে এসআই সৈকত জানতে পারেন, ছেলেটি নওগাঁ থেকে ঢাকায় চলে এসেছে। তার সঙ্গে আর কেউ নেই। এ পরিস্থিতিতে এসআই সৈকত রাতে থানায় নিয়ে যান।

থানায় নিয়ে আসার পর পরম যত্নে শিশুটির কাছে নাম-ঠিকানা জানতে চান তিনি। শিশুটি তখন জানায়,নাম তার ইদ্রিস আলী।

কিন্তু বাবা-মা কিংবা আত্মীয়স্বজনের কারো মোবাইল নম্বর জানে না সে। এ অবস্থায় শিশুটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হন ভাটারা থানার পুলিশ অফিসার এসআই সৈকত ।

মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তা মধ্যরাতেই বাবার নাম্বার সংগ্রহ করেন এবং ছেলেটির বাবাকে জানান, তার ছেলে ইদ্রিস আলী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তিনি যেন এসে ছেলেকে নিয়ে যান। ছেলের প্রাপ্তি সংবাদ বাবাকে জানানো ছাড়াও ছেলেটিকে নিজের হেফাজতে রেখে তার খাওয়া-দাওয়াসহ সার্বিক দেখাশোনাও করছেন এস আই সৈকত।

বিকাল ৪ঃ১০ নাগাদ ছেলেটার বাবা চট্টগ্রাম থেকে ভাটারা থানা এসে পৌছালো। বিকালে ভাটারা থানায় গিয়ে সন্তানকে কোলে তুলে নিলে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের। কান্না থামিয়ে বাবার কোলে ওঠে ইদ্রিস আলী হাসে স্বস্তির হাসি। ভাটারা থানার চৌকুস পুলিশ অফিসার এসআই সৈকত এর মহানুভবতা আর প্রচেষ্টায় এভাবে বাবা-মা আর স্বজনদের ফিরে পেয়েছে ছোট্ট শিশুটি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এসআই সৈকত জানান, ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, একটি ভালো কাজ করতে পেরেছি।