মো.জাকির হোসেন।।
কুমিল্লার বুড়িচং মোকাম ইউনিয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণের মধ্যে দিয়ে মোকাম ইউনিয়নে এ প্রথম স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আবিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বুড়িচং নির্বাচন কমিশনারের তত্বাবধানে ও আবিদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার সার্বিক সহযোগীতায় স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
এ জাতীয় স্মার্ট কার্ড বিতরণ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলমান ছিল। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নারী ভোটারদের মধ্যে এবং বিকাল ২ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত পুরুষ ভোটারদের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় ১নং ওয়ার্ড আবিদপুর ও ২ নং ওয়ার্ড মিথলমা গ্রামের মোট ৫০৫১ জন ভোটার নারী ও পুরুষের মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আবিদপুর গ্রামের ৩,৮৭২ জন ও মিথলমা গ্রামের ১,১৭৯ জন স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আগামী ৫ দিন বুড়িচং উপজেলার বাকি ইউনিয়নগুলোতে এ স্মার্ট কার্ডের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বুড়িচং উপজেলা নির্বাচন কমিশন।
এসময় স্মার্ট কার্ড কার্যক্রম বিতরণে উপস্থিত ছিলেন মোকাম ইউনিয়ন এর ২নং ওয়ার্ডের মোঃ জাকির হোসেন মেম্বার, শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো: মনিরুল ইসলাম (মনির),কুমিল্লা জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সদস্য মেহেদী হাসান অপু, বিল্লাল হোসেন, মো.শাহারিয়া, কাদের হোসেন,সাব্বির বিন আশরাফ ও মাঈন উদ্দিনসহ আবিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ। এছাড়াও স্মার্ট কার্ড বিতরণের সার্বিক দিক পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.সাহেব আলী।
মেহেদী হাসান অপু বলেন, আবিদপুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার সার্বিক সহযোগিতা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। কোনো ধরনের ভোগান্তি ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমাদের স্বেচ্ছাসেবক টিম কাজ করেছে। আমাদের উদ্যােগকে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ সাধুবাদ জানিয়েছে। স্মার্ট কার্ড বিতরণের জন্য আমাদের বিভিন্ন খাতে অর্থ ব্যয় হয়েছে। যেটা আমরা ছাত্ররাই নিজস্ব অর্থ দিয়ে এ ব্যয়ভার বহন করেছি।
এছাড়াও মিথলমা গ্রাম থেকে স্মার্ট কার্ড নিতে আসা এক নারী ভোটার শিউলি আক্তার বলেন, ছাত্র জনতা যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় তানা হলে আমাদেরকে নিমসার থেকে এ কার্ড সংগ্রহ করতে হতো যা আমাদের জন্য ভোগান্তি, সময় ও ব্যয়বহুল ছিল। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই আমি স্মার্ট কার্ড হাতে পেছেছি।
স্মার্ট কার্ড বিতরণের আবিদপুর কেন্দ্রের দায়িত্বরত টেকনিক্যাল ম্যানেজার আল-আমিন মিয়া বলেন, আমরা স্মার্ট কার্ড দুই ধাপে বিতরণ করেছি। প্রথম ধাপে নারী এবং দ্বিতীয় ধাপে পুরুষ। এ কার্যক্রমে ছাত্রদের কাজ থেকে আমরা সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি যার ফলে আমাদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমাদের ২৬ জন কর্মকর্তা কাজ করেছে পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। যার আজকে স্মার্ট কার্ড নিতে পারে নাই তারা আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে মোকাম ইউনিয়ন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবে।
উল্লেখ্য ; অনিবার্য কারণবত কোনো কারনে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে পারে নি তারা আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে বুড়িচং মোকাম ইউনিয়ন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page