০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লার মুরাদনগরে পোড়া তেলে শিশু খাদ্য তৈরি, ১ লাখ টাকা জরিমানা কুমিল্লায় কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা ২০২৬ সালে নতুন ক্যাম্পাসে উদ্বোধন হবে ৪টি হল ও ৪টি অ্যাকাডেমিক ভবন: কুবি উপাচার্য মনোহরগঞ্জে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দিতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব, আতঙ্কিত পথচারীরা ও স্কুলগামীরা দাউদকান্দিতে যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান কুমিল্লায় মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই: ১৯টি গরু ও ২ লাখ টাকা লুট গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা অতুলনীয় -ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভণ্ড রাজারবাগের আস্তানা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

কুবির কর্মকর্তাকে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি

  • তারিখ : ১০:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • 7

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালককে দেখে নেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করারও অভিযোগ রয়েছে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দুপুরে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ দপ্তরের কর্মকর্তা এস. এম. মাহমুদুল হকের কক্ষে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে গেলে একাউন্টস অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। এক পর্যায়ে জাকির হোসেন চৌধুরী ঐ কর্মকর্তাকে ‘রেজিস্ট্রারের দালাল’ বলে গালমন্দ করেন। পরে এর প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে জাকির মা-বাবার নাম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পরে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা জাকির হোসেনকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু ফিরে এসে তিনি আবারও গালমন্দ শুরু করেন এবং হুমকিধামকি দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সেখানে দাপ্তরিক কাজে যাই। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই জাকির হোসেন আমার কাছে এসে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে যাচ্ছে-তাই ভাষায় গালি দিতে থাকে। এমন গালমন্দ করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। আমি বিষয়টি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে জানিয়েছি। সেখানে সভাপতি নিজেই উপস্থিত ছিল। আমি প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ দিব। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

তবে অভিযুক্ত জাকির হোসেন চৌধুরীর কাছে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি পত্রিকার কোনো রিপোর্টারের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান।

এসময় তিনি সাংবাদিককে উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন, আপনার কাজ পড়াশোনা করা। আপনার পড়াশোনার কোন কাজে আসলে কথা বলতে পারি। আপনি লাইব্রেরির কথা লিখবেন, ডরমিটরির কথা বলবেন। এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যিনি আপনাকে অভিযোগ দিয়েছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না, কিছু জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, জাকির হোসেন চৌধুরী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, আমরা এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সমিতির সভাপতি আজকে ব্যাস্ত ছিল তাই আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিব।

এ ঘটনায় জুনিয়র কর্মকর্তা একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এভাবে গালমন্দ করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ আবু তাহেরের বলেন, আমাদের দুই কর্মকর্তার মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। জাকির হোসেন চৌধুরী গালমন্দ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কথা বলে দুইজনকে মিউচুয়াল করে দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, আমি এইরকম কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পদক্ষেপ নিব।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মচারীর কাছে সুদের ব্যাবসাও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

error: Content is protected !!

কুবির কর্মকর্তাকে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি

তারিখ : ১০:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালককে দেখে নেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করারও অভিযোগ রয়েছে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দুপুরে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ দপ্তরের কর্মকর্তা এস. এম. মাহমুদুল হকের কক্ষে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে গেলে একাউন্টস অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। এক পর্যায়ে জাকির হোসেন চৌধুরী ঐ কর্মকর্তাকে ‘রেজিস্ট্রারের দালাল’ বলে গালমন্দ করেন। পরে এর প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে জাকির মা-বাবার নাম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পরে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা জাকির হোসেনকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু ফিরে এসে তিনি আবারও গালমন্দ শুরু করেন এবং হুমকিধামকি দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সেখানে দাপ্তরিক কাজে যাই। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই জাকির হোসেন আমার কাছে এসে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে যাচ্ছে-তাই ভাষায় গালি দিতে থাকে। এমন গালমন্দ করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। আমি বিষয়টি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে জানিয়েছি। সেখানে সভাপতি নিজেই উপস্থিত ছিল। আমি প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ দিব। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

তবে অভিযুক্ত জাকির হোসেন চৌধুরীর কাছে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি পত্রিকার কোনো রিপোর্টারের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান।

এসময় তিনি সাংবাদিককে উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন, আপনার কাজ পড়াশোনা করা। আপনার পড়াশোনার কোন কাজে আসলে কথা বলতে পারি। আপনি লাইব্রেরির কথা লিখবেন, ডরমিটরির কথা বলবেন। এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যিনি আপনাকে অভিযোগ দিয়েছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না, কিছু জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, জাকির হোসেন চৌধুরী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, আমরা এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সমিতির সভাপতি আজকে ব্যাস্ত ছিল তাই আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিব।

এ ঘটনায় জুনিয়র কর্মকর্তা একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এভাবে গালমন্দ করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ আবু তাহেরের বলেন, আমাদের দুই কর্মকর্তার মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। জাকির হোসেন চৌধুরী গালমন্দ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কথা বলে দুইজনকে মিউচুয়াল করে দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, আমি এইরকম কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পদক্ষেপ নিব।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মচারীর কাছে সুদের ব্যাবসাও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।