১১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লায় গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ নেতা গ্রেফতার কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী চৌদ্দগ্রামে কামরুল হুদার পক্ষে ঘোলপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের লিফলেট বিতরণ ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন, কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না: কুমিল্লায় প্রেস সচিব কুমিল্লায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার আহত প্রবাসী সেলিমের দেশে ফেরার টিকিট দিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুরাদনগরে পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচার ব্যবসার অভিযোগে ৬ জন গ্রেপ্তার

কুবির কর্মকর্তাকে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি

  • তারিখ : ১০:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • 30

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালককে দেখে নেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করারও অভিযোগ রয়েছে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দুপুরে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ দপ্তরের কর্মকর্তা এস. এম. মাহমুদুল হকের কক্ষে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে গেলে একাউন্টস অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। এক পর্যায়ে জাকির হোসেন চৌধুরী ঐ কর্মকর্তাকে ‘রেজিস্ট্রারের দালাল’ বলে গালমন্দ করেন। পরে এর প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে জাকির মা-বাবার নাম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পরে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা জাকির হোসেনকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু ফিরে এসে তিনি আবারও গালমন্দ শুরু করেন এবং হুমকিধামকি দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সেখানে দাপ্তরিক কাজে যাই। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই জাকির হোসেন আমার কাছে এসে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে যাচ্ছে-তাই ভাষায় গালি দিতে থাকে। এমন গালমন্দ করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। আমি বিষয়টি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে জানিয়েছি। সেখানে সভাপতি নিজেই উপস্থিত ছিল। আমি প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ দিব। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

তবে অভিযুক্ত জাকির হোসেন চৌধুরীর কাছে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি পত্রিকার কোনো রিপোর্টারের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান।

এসময় তিনি সাংবাদিককে উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন, আপনার কাজ পড়াশোনা করা। আপনার পড়াশোনার কোন কাজে আসলে কথা বলতে পারি। আপনি লাইব্রেরির কথা লিখবেন, ডরমিটরির কথা বলবেন। এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যিনি আপনাকে অভিযোগ দিয়েছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না, কিছু জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, জাকির হোসেন চৌধুরী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, আমরা এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সমিতির সভাপতি আজকে ব্যাস্ত ছিল তাই আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিব।

এ ঘটনায় জুনিয়র কর্মকর্তা একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এভাবে গালমন্দ করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ আবু তাহেরের বলেন, আমাদের দুই কর্মকর্তার মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। জাকির হোসেন চৌধুরী গালমন্দ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কথা বলে দুইজনকে মিউচুয়াল করে দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, আমি এইরকম কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পদক্ষেপ নিব।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মচারীর কাছে সুদের ব্যাবসাও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

error: Content is protected !!

কুবির কর্মকর্তাকে ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি

তারিখ : ১০:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালককে দেখে নেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করারও অভিযোগ রয়েছে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দুপুরে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ দপ্তরের কর্মকর্তা এস. এম. মাহমুদুল হকের কক্ষে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজে অর্থ ও হিসাব দপ্তরে গেলে একাউন্টস অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন। এক পর্যায়ে জাকির হোসেন চৌধুরী ঐ কর্মকর্তাকে ‘রেজিস্ট্রারের দালাল’ বলে গালমন্দ করেন। পরে এর প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে জাকির মা-বাবার নাম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। পরে উপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তারা জাকির হোসেনকে বাহিরে নিয়ে গিয়ে শান্ত হতে বলেন। কিন্তু ফিরে এসে তিনি আবারও গালমন্দ শুরু করেন এবং হুমকিধামকি দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ড. মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি সেখানে দাপ্তরিক কাজে যাই। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই জাকির হোসেন আমার কাছে এসে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে সে আমাকে যাচ্ছে-তাই ভাষায় গালি দিতে থাকে। এমন গালমন্দ করেছে, যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। আমি বিষয়টি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে জানিয়েছি। সেখানে সভাপতি নিজেই উপস্থিত ছিল। আমি প্রয়োজনে লিখিত অভিযোগ দিব। আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

তবে অভিযুক্ত জাকির হোসেন চৌধুরীর কাছে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি পত্রিকার কোনো রিপোর্টারের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে জানান।

এসময় তিনি সাংবাদিককে উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন, আপনার কাজ পড়াশোনা করা। আপনার পড়াশোনার কোন কাজে আসলে কথা বলতে পারি। আপনি লাইব্রেরির কথা লিখবেন, ডরমিটরির কথা বলবেন। এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যিনি আপনাকে অভিযোগ দিয়েছে তাকে জিজ্ঞেস করেন। আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না, কিছু জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, জাকির হোসেন চৌধুরী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে, আমরা এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। সমিতির সভাপতি আজকে ব্যাস্ত ছিল তাই আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে ব্যাবস্থা নিব।

এ ঘটনায় জুনিয়র কর্মকর্তা একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এভাবে গালমন্দ করতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মোঃ আবু তাহেরের বলেন, আমাদের দুই কর্মকর্তার মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। জাকির হোসেন চৌধুরী গালমন্দ করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা কথা বলে দুইজনকে মিউচুয়াল করে দিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, আমি এইরকম কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পদক্ষেপ নিব।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ ব্যাবহার অভিযোগ রয়েছে এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়া বিভিন্ন কর্মচারীর কাছে সুদের ব্যাবসাও করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।