০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুবিতে প্রথমবারের মতো সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতা ও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল: ১ লাখ ৬৭ হাজার থেকে কমে ২ হাজার ৬০০ টাকা কুমিল্লার মুরাদনগরে অপহরণের পর যুবক খুন, ৩৬ দিন পর কঙ্কাল উদ্ধার কুমিল্লায় আ. লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার কুমিল্লার দেবিদ্বারে পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয় বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৫ লক্ষ টাকার ওষুধ বিতরণ ইমোর মাধ্যমে প্রবাসীর সঙ্গে পরিচয়, কুমিল্লার দুলাল হত্যার পেছনের মূল কারণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চার গাড়ির সংঘর্ষে ২ জন নিহত, আহত ৩

বিরোধী দলের ওয়াকআউটের মধ্যেও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী পৌরসভা প্রশাসক বিল পাস করালেন

  • তারিখ : ০৮:২৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২
  • 9

গোলাম কিবরিয়া।।
পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের বিধান নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য। এ বিধানের বিরোধিতা করে তারা বলেছেন, এই বিধান অসাংবিধানিক। তবে তাদের বিরোধিতার মুখে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় সরকারি কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখেই পৌরসভা আইনের সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

এতে সরকারের দেওয়া এ নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেই কর্মকর্তাদের।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের ওয়াকআউটের মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের সংশোধনী পাস হয়। বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুন প্রশাসক নিয়োগের কারণ, সরকারের কোন কোন নির্দেশ পালন করতে হবে- এ বিষয়গুলোর স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেন। তিনি বলেন, এসবের ব্যাখ্যা না পেলে তিনি ওয়াকআউট করবেন। পরে বিলটি পাসের সময় তিনি সংসদকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।

এর আগে হারুন বলেন, এখন আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। জনগণকে সেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভিন্নমতের কেউ তাদের সেই কর্মসূচিতে না গেলে তাদের সরিয়ে দেওয়ায় উদ্দেশেই এ আইন করা হচ্ছে। এই আইনে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে সরকারের কোন কোন নির্দেশ পালন করতে হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দ্বারা স্থানীয় সরকার পরিচালিত হবে। কিন্তু প্রশাসক নিয়োগের বিধান সংবিধানের কোথায় রয়েছে, দেখিয়ে দিতে হবে। এই আই সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, যে স্থানে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকার কথা, কিন্তু সে স্থানে যদি অনির্বাচিত কেউ বসে তাহলে কি এই আইন সংবিধানের পরিপন্থী হবে না? তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনির্বাচিত বিধায় এটি বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেন স্থানীয় সরকারে অনির্বাচিত ব্যক্তিকে বসানো হবে, এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। তিনি বলেন, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের এমন বক্তব্যের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান রাখার বিষয়টি যৌক্তিক। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় নির্বাচন করা নিয়ে আইনগত জটিলতা তৈরি হয়। অনেকে এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। তাই এই আইন করা হয়েছে, যাতে অযোগ্য কেউ কোনোভাবে সুযোগ নিতে না পারে।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে নতুন পৌরসভা গঠনের পর সেখানে প্রশাসক বসানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু নতুন আইনে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় প্রশাসক বসানো এবং সরকার চাইলে যেকোনো ব্যক্তিকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ রেখে আইন পাস করা হয়েছে।

error: Content is protected !!

বিরোধী দলের ওয়াকআউটের মধ্যেও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী পৌরসভা প্রশাসক বিল পাস করালেন

তারিখ : ০৮:২৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ মার্চ ২০২২

গোলাম কিবরিয়া।।
পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগের বিধান নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য। এ বিধানের বিরোধিতা করে তারা বলেছেন, এই বিধান অসাংবিধানিক। তবে তাদের বিরোধিতার মুখে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় সরকারি কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখেই পৌরসভা আইনের সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

এতে সরকারের দেওয়া এ নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেই কর্মকর্তাদের।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের ওয়াকআউটের মধ্য দিয়ে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের সংশোধনী পাস হয়। বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুন প্রশাসক নিয়োগের কারণ, সরকারের কোন কোন নির্দেশ পালন করতে হবে- এ বিষয়গুলোর স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেন। তিনি বলেন, এসবের ব্যাখ্যা না পেলে তিনি ওয়াকআউট করবেন। পরে বিলটি পাসের সময় তিনি সংসদকক্ষ থেকে ওয়াকআউট করেন।

এর আগে হারুন বলেন, এখন আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। জনগণকে সেই কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভিন্নমতের কেউ তাদের সেই কর্মসূচিতে না গেলে তাদের সরিয়ে দেওয়ায় উদ্দেশেই এ আইন করা হচ্ছে। এই আইনে অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে সরকারের কোন কোন নির্দেশ পালন করতে হবে।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সংবিধানে বলা হয়েছে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দ্বারা স্থানীয় সরকার পরিচালিত হবে। কিন্তু প্রশাসক নিয়োগের বিধান সংবিধানের কোথায় রয়েছে, দেখিয়ে দিতে হবে। এই আই সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, যে স্থানে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকার কথা, কিন্তু সে স্থানে যদি অনির্বাচিত কেউ বসে তাহলে কি এই আইন সংবিধানের পরিপন্থী হবে না? তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনির্বাচিত বিধায় এটি বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেন স্থানীয় সরকারে অনির্বাচিত ব্যক্তিকে বসানো হবে, এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। তিনি বলেন, এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের এমন বক্তব্যের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশাসক নিয়োগের বিধান রাখার বিষয়টি যৌক্তিক। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় নির্বাচন করা নিয়ে আইনগত জটিলতা তৈরি হয়। অনেকে এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। তাই এই আইন করা হয়েছে, যাতে অযোগ্য কেউ কোনোভাবে সুযোগ নিতে না পারে।

উল্লেখ্য, বিদ্যমান আইনে নতুন পৌরসভা গঠনের পর সেখানে প্রশাসক বসানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু নতুন আইনে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় প্রশাসক বসানো এবং সরকার চাইলে যেকোনো ব্যক্তিকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ রেখে আইন পাস করা হয়েছে।