০৭:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা–৬ আসনে টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান তিন মাস পর বাসায় ফিরেছে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির কুমিল্লার যমজ দুইবোন জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ঘুষ জাদুঘরে পাঠানো হবে- কুমিল্লায় সরওয়ার ছিদ্দিকী চৌদ্দগ্রামে কামরুল হুদার পক্ষে ঘোলপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের লিফলেট বিতরণ ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই নির্বাচন, কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না: কুমিল্লায় প্রেস সচিব কুমিল্লায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার আহত প্রবাসী সেলিমের দেশে ফেরার টিকিট দিলেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মুরাদনগরে পতিতাবৃত্তি ও মানবপাচার ব্যবসার অভিযোগে ৬ জন গ্রেপ্তার কুমিল্লায় রেলস্টেশনে টাস্কফোর্স অভিযানে ৩ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ চৌদ্দগ্রামে চিওড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের ওয়ার্ড নির্বাচনী প্রস্তুতি ও কর্মী সভা

কুমিল্লায় নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি, ভোগান্তিতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার

  • তারিখ : ০৮:১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • 510

নেকবর হোসেন

কুমিল্লার বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক পণ্যের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশি আদার দাম পৌঁছেছে দুই শতকের ঘরে, আর পেঁয়াজও প্রায় শতকের ঘরে পৌঁছানোর পথে।

সরবরাহ ও আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও রাতারাতি দাম বাড়ায় হতাশ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, চলমান বর্ষায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও মসুর ডালের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের ঘাটতিকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ‘সংকট’ দেখিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। তারা আশা করছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

মঙ্গলবার কুমিল্লার রাণীর বাজার ও টমছম ব্রিজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে—

  • চাল: সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকন চালের দাম কেজিতে ২–৩ টাকা বেড়েছে। মোটা চাল ৫৫–৬০ টাকা এবং চিকন চাল ৮০–১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
  • পেঁয়াজ: কেজিতে ১৫–২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫–৮৫ টাকা দরে।
  • আদা: দেশি আদা ৮০–১০০ টাকা বেড়ে কেজি ২০০ টাকা, আমদানিকৃত আদা ২৫০ টাকা।
  • রসুন: দেশি রসুন ১১০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন ১৬০ টাকা, কেজিতে ৫–১০ টাকা বৃদ্ধি।
  • মসুর ডাল: সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে কেজি ১১৫ টাকা।

ভোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুই দিন পর পর নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এটি এক ধরনের সিন্ডিকেট। সপ্তাহখানেক আগে পেঁয়াজ ছিল ৫৫–৬০ টাকা, আজ ৮০–৮৫ টাকা।”

আরেক ক্রেতা সুমাইয়া জাহান বলেন, “সব পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই। এতে সবচেয়ে ভুগছে নিম্নআয়ের মানুষ।”

কুমিল্লা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল আহমেদ জানান, দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দাম বেশি হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রসুনের পর্যাপ্ত আমদানি না থাকায় তার দামও বেড়েছে। তিনি আশা করছেন, আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে পারে, তবে আদার বাজার আরও চড়া হতে পারে।

error: Content is protected !!

কুমিল্লায় নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি, ভোগান্তিতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবার

তারিখ : ০৮:১০:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

নেকবর হোসেন

কুমিল্লার বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক পণ্যের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশি আদার দাম পৌঁছেছে দুই শতকের ঘরে, আর পেঁয়াজও প্রায় শতকের ঘরে পৌঁছানোর পথে।

সরবরাহ ও আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও রাতারাতি দাম বাড়ায় হতাশ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, চলমান বর্ষায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও মসুর ডালের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের ঘাটতিকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ‘সংকট’ দেখিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। তারা আশা করছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

মঙ্গলবার কুমিল্লার রাণীর বাজার ও টমছম ব্রিজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে—

  • চাল: সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকন চালের দাম কেজিতে ২–৩ টাকা বেড়েছে। মোটা চাল ৫৫–৬০ টাকা এবং চিকন চাল ৮০–১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
  • পেঁয়াজ: কেজিতে ১৫–২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫–৮৫ টাকা দরে।
  • আদা: দেশি আদা ৮০–১০০ টাকা বেড়ে কেজি ২০০ টাকা, আমদানিকৃত আদা ২৫০ টাকা।
  • রসুন: দেশি রসুন ১১০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন ১৬০ টাকা, কেজিতে ৫–১০ টাকা বৃদ্ধি।
  • মসুর ডাল: সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে কেজি ১১৫ টাকা।

ভোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুই দিন পর পর নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এটি এক ধরনের সিন্ডিকেট। সপ্তাহখানেক আগে পেঁয়াজ ছিল ৫৫–৬০ টাকা, আজ ৮০–৮৫ টাকা।”

আরেক ক্রেতা সুমাইয়া জাহান বলেন, “সব পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই। এতে সবচেয়ে ভুগছে নিম্নআয়ের মানুষ।”

কুমিল্লা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল আহমেদ জানান, দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দাম বেশি হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রসুনের পর্যাপ্ত আমদানি না থাকায় তার দামও বেড়েছে। তিনি আশা করছেন, আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে পারে, তবে আদার বাজার আরও চড়া হতে পারে।