নেকবর হোসেন
কুমিল্লার বাজারে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে একাধিক পণ্যের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশি আদার দাম পৌঁছেছে দুই শতকের ঘরে, আর পেঁয়াজও প্রায় শতকের ঘরে পৌঁছানোর পথে।
সরবরাহ ও আমদানি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও রাতারাতি দাম বাড়ায় হতাশ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, চলমান বর্ষায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও মসুর ডালের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের ঘাটতিকে কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা ‘সংকট’ দেখিয়ে ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। তারা আশা করছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
মঙ্গলবার কুমিল্লার রাণীর বাজার ও টমছম ব্রিজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে—
- চাল: সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকন চালের দাম কেজিতে ২–৩ টাকা বেড়েছে। মোটা চাল ৫৫–৬০ টাকা এবং চিকন চাল ৮০–১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
- পেঁয়াজ: কেজিতে ১৫–২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫–৮৫ টাকা দরে।
- আদা: দেশি আদা ৮০–১০০ টাকা বেড়ে কেজি ২০০ টাকা, আমদানিকৃত আদা ২৫০ টাকা।
- রসুন: দেশি রসুন ১১০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন ১৬০ টাকা, কেজিতে ৫–১০ টাকা বৃদ্ধি।
- মসুর ডাল: সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে কেজি ১১৫ টাকা।
ভোক্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুই দিন পর পর নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এটি এক ধরনের সিন্ডিকেট। সপ্তাহখানেক আগে পেঁয়াজ ছিল ৫৫–৬০ টাকা, আজ ৮০–৮৫ টাকা।”
আরেক ক্রেতা সুমাইয়া জাহান বলেন, “সব পণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই। এতে সবচেয়ে ভুগছে নিম্নআয়ের মানুষ।”
কুমিল্লা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল আহমেদ জানান, দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আদার দাম বেশি হওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রসুনের পর্যাপ্ত আমদানি না থাকায় তার দামও বেড়েছে। তিনি আশা করছেন, আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতে পারে, তবে আদার বাজার আরও চড়া হতে পারে।