স্টাফ রিপোর্টার।।
শিশু পাচার ও নানাভাবে যৌনতার শিকার শিশুদের সুরক্ষায় গণমাধ্যমসহ সমাজে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশা এবং পরিবারের লোকজনদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, শিশুর প্রতি যৌন নিপীড়ন নানাভাবে ঘটতে পারে, আবার এই শিশুদের পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থানের বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন চক্র পাচারের ফাঁদে ফেলে থাকে। হোক গ্রাম-গঞ্জ কিংবা শহরের যেকোনো সামাজিক অবস্থান এবং যেকোনো বয়সের শিশুরা যৌন নিপীড়ন ও পাচারের শিকার হতে পারে। তবে প্রতিবন্ধী শিশু, কর্মজীবী শিশু, পথে বসবাসকারী শিশুসহ কিছু শিশু তাদের অবস্থার কারণে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। অপরদিকে স্বচ্ছল, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুরা ইন্টারনেট ব্যবহারের অবাধ সুযোগের কারণে বুঝতে পারছে না কীভাবে তারা যৌন বা পাচার ঝুঁকির ফাঁদে পা দিচ্ছে। শিশু পাচার ও যৌনতার শিকার শিশুদের সুরক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শিশু পাচার এবং যৌনতার শিকার শিশুদের সুরক্ষা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ফ্রিডম ফান্ডের সহায়তায় উন্নয়ন সংগঠন রূপান্তর এ প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে। প্রকল্পটি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা, বুড়িচং ও চান্দিনা উপজেলায় পরিচালিত হবে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আিইসিটি) মো. তৗহিদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল মালিক।
অনুষ্ঠানে প্রকল্পের করণীয় দিকগুলোর সামগ্রিক বিষয় প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের বরিশাল জেলার কো-অর্ডিনেটর ঝুমু কর্মকার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কুমিল্লা জেলা সমন্বয়ক আবদুল হান্নান ও সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা সমন্বয়ক মেহেদী হাসান।
পরে এবিষয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল, দৈনিক ইনকিলাব স্টাফ রিপোর্টার সাদিক মামুন, সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুজ্জামান, এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী, প্রত্যয়ের নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, ব্লাস্ট কুমিল্লার সাবেক কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট শামীমা আক্তার জাহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দেশের প্রচলিত আইন, নীতি এবং অনুশীলনে অনেক অগ্রগতি অর্জন করা সত্ত্বেও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও পাচার বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন
You cannot copy content of this page